গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবহার সংক্রান্ত জাতিসংঘের একটি চুক্তিতে (ট্রিটি) সই করেছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে সমুদ্র সম্পদের সু্ষ্ঠু সংরক্ষণ ও আহরণে বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি, সেটি আরও দৃঢ় হলো।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি অব এরিয়াস বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন’ (বিবিএনজে) শীর্ষক এ সন্ধিপত্রে সই করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী, যদি অন্য কোনো দেশ বা কোম্পানি ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে ভাসমান সম্পদ (মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস) আহরণ করতে চায়, তাহলে একটি অংশ ওই অঞ্চলের মালিকানা যে দেশের, সেই দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে দিতে হবে।
জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো দেশের তটরেখা বা উপকূল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যে সমুদ্র রয়েছে, সেটির ওপর ওই দেশের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। এরমধ্যে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পানিতে ভাসমান অর্থাৎ মাছসহ অন্যান্য সম্পদ এবং সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে সব কিছুর মালিক ওই দেশ। কিন্তু ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে শুধু সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে সেটির মালিক ওই দেশ। এর অর্থ হলো, ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরে ভাসমান সম্পদ অন্য যেকোনো দেশ আহরণ করার অধিকার রাখে।
চুক্তিতে যারা সই করেছে, তাদের গভীর সুমদ্রে ভাসমান সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে– মেরিন প্রটেকটেড অঞ্চলে সম্পদ আহরণ করা যাবে না। অতিরিক্ত মাত্রায় মাছ ধরা যাবে না। পরিবেশের ওপর প্রভাব পর্যালোচনা করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ করতে পারে, সেজন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে হবে। সমুদ্র দূষণ রোধ করতে হবে এবং গবেষণার জন্য অর্থ ব্যয় করতে হবে।