ইদানিং প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে দেশে বিদেশে সার্বক্ষণিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা যায়। অনেকে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী তাকে রাজনীতির অনেক বিষয় শেখাচ্ছেন। কারণ অনেকের মনেই প্রশ্ন বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরবর্তী উত্তরাধীকারী কে হবেন? এবার এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পুতুলের রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা খুবই কম।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের জাতিসংঘ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা খুবই কম। ভবিষ্যতে কে নেতৃত্বে আসবে সেটা বাংলাদেশের জনগণ ঠিক করবে আর আমার দল। ছেলে মেয়েকে শিক্ষা দিয়েছি। তাদের শিক্ষাটাই একমাত্র সম্পদ। তাদেরকে বলেছি যে শিক্ষা দিয়েছি সে শিক্ষা অনুযায়ী দেশের কল্যাণে কাজ করতে।
তিনি বলেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল একজন অটিজম বিশেষজ্ঞ। সারাবিশ্বেই তিনি অটিস্টিক শিশুদের অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া আজকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ জয়ের কাছ থেকে শেখা। জয়ই আমাকে এ ব্যাপারে সব রকম পরামর্শ দিয়েছিলো।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এখন নির্বাচনে যতটুকু স্বচ্ছতা আছে তা আওয়ামী লীগের জন্য হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেকগুলো উপনির্বাচন হয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে। জনগণ কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আর আমরাও সরকারে এসেছি জনগণের ভোটে। কেউ আমাদেরকে হাতে তুলে দেয়নি। কাজেই নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ হোক সেটা আমরাই চাই।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরনার্থী ঘরে ফিরে যাক এটা অনেকেই চায় না। শরণার্থী হিসেবে থাকা কত কষ্টের সেটা আমি বুঝি। রোহিঙ্গাদের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের যুক্ত হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।