শ্রমিকের অধিকার ও কর্মপরিবেশসহ প্রয়োজনীয় শর্তগুলো মানলেই যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্য রফতানিতে শুল্ক কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জন ফে।
সোমবার(২৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য ও বিনিয়োগ’ শীর্ষক এক সেমিনার তিনি একথা বলেন। ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে তুলা আমদানি করলে কোনো শুল্ক দিতে হয় না। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক দিতে হয় ১৫ শতাংশ। এটি যৌক্তিক নয়। বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের এই অভিযোগের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, আইটি, কৃষি, খাদ্য ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করছে। তবে এই বিনিয়োগ করতে গিয়ে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। তা সমাধান করতে হবে।
কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আরও বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত অনেক বিশাল। এখানে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলো কাজে লাগাতে উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সামষ্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিনিয়োগের জন্য এটিও সমস্যা।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ভিসানীতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে জন ফে বলেন, আমি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু ভিসানীতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ব্যাখ্যা দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিকেএমইএ সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান এবং শাশা ডেনিমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইর রিসার্স ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক এবং পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ। ইআরএফের সভাপতি রিফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।