আওয়ামী লীগকে কবরস্থানে পাঠাবে সেদিন আর আসবে না। বিএনপির রাজনীতি কবরস্থানে যাবে শীঘ্রই। এখনো বিএনপি নামের হত্যাকারীদের হাতে রক্তের দাগ রয়ে গেছে। বিএনপির হাতে এ দেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্র মুক্তিযুদ্ধ কিছুই নিরাপদ নয়। আগামীতে বিএনপির সঙ্গে রাজনীতির ময়দানে খেলতে প্রস্তুত রয়েছে আওয়ামী লীগ। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে কৃষক লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনবিচ্ছিন্ন দল বিএনপি জামায়াতকে কেউ ক্ষমতায় বসিয়ে দিতে পারবেনা। ক্ষমতার মালিক দেশের জনগণ। বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিয়ে কোনো লাভ নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের উচিত দেশের কৃষকসহ তাদের শোষণের শিকার জনমানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। জনসমর্থন ছাড়া কোন সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের প্রতি ভর করে ক্ষতায় যাওয়া যাবে না।
কাদের বলেন, তাদের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটামের কী হলো? বিএনপির ৪৮ ঘণ্টা আন্দোলনসহ সবকিছুই ভুয়া। সরকার যদি অবৈধ হয় তবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, সমাবেশ করার অনুমতি নিতে হয় কেন? দেশবিরোধী দল হলো বিএনপি। এদের কাছে দেশ, জনগণ, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ নিরাপদ নয়। তারা দেশের স্থিতিশীলতা চায় না। বিএনপি চায় দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল করে ফায়দা নিতে।
তিনি বলেন, এই দেশ কারো বাপ দাদার দান করা নয়। যাদের হাতে রক্তের দাগ, ১৫ আগস্টের রক্ত, ২১ আগস্টের রক্ত, বাংলার কৃষকের রক্ত। তারা হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। সেই বিএনপির হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়, গণতন্ত্র, ভোট, নিরাপত্তা, মুক্তিযুদ্ধ কিছুই নিরাপদ নয়। এরা একাত্তরের বাংলাদেশ চায় না। খুন আর সন্ত্রাস চায়। এরা চায় দুর্নীতি আর স্বৈরাচারিতা।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে নির্বাচন। সময় খুব কয়, মাঠ ছাড়া যাবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যারা সন্ত্রাস করবে তাদের কঠোর ভাবে প্রতিহত করা হবে। দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে কোনো আপোষ নয়। নেত্রী আসছেন, ডাক দেবে, যখনি ডাক দেবেন রাস্তায় নেমে আসবেন। আমরা আর কোনো কালো হাতে বাংলাদেশ ছেড়ে দেব না। আমাদের যাত্রা আলোর দিকে ও সোনার বাংলাদেশ গড়ার দিকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া এ দেশ কারাতে নিরাপদ নয়। একজন ভালো মানুষ হিসেবে শেখ হাসিনা ছাড়া এদেশে ৭৫'র পর আর কেউ আসেনি। তিনিই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন কাজ করে চলছেন। শেখ হাসিনা না থাকলে এদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি সবকিছুই থেমে যাবে। তাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।