হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেরই বাস্তবায়ন। বলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির।
রোববার (১ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, কয়েকদিন আগে আইনমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার ৩-৪ দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী ভয়েস অব আমেরিকায় দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বেগম জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে প্রথমে জেলে গিয়ে আদালতে আবেদন করতে হবে। গতকাল জানা গেল, রোববার আইনমন্ত্রী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। আজ সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত আসল তাকে বিদেশে যেতে দেয়া হবে না। এমন সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্রে দেয়া বক্তব্যেরই বাস্তবায়ন। ফ্যাসিবাদী শাসনে আইনমন্ত্রী যে শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত দোসর হবেন এটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন, বেঁচে থাকা এবং উন্নত চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া সব কিছু প্রধানমন্ত্রী আর আইনমন্ত্রীর তামাশার হিংস্র বৃত্তে আটকে গেছে। দেশে এখন চলছে জয়বাংলার আইন। এ আইনে সুশাসন ও ন্যায়বিচার কঙ্কালে পরিণত হয়েছে।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রেখে উন্নত চিকিৎসায় বাধা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে তাকে দুনিয়া থেকে সরানোর নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে সরকার। উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে আজ আইন মন্ত্রণালয়ের নেতিবাচক সিদ্ধান্ত মানবতাবিরোধী ও অবিচারের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। এটি পূর্বপরিকল্পিত এবং একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ। এ অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান শক্তি জনগণ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করার পরে বিভিন্ন কায়দায় বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জনগণ বিশ্বাস করে। চারিদিকে পৈশাচিক প্রবৃত্তির যে ছবি দৃশ্যমান হচ্ছে সেটি বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলতে জনগণ আজ অঙ্গীকারাবদ্ধ। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত আক্রোশে খালেদা জিয়া বন্দি এবং উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
রিজভী আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতেই চলছে বহুমাত্রিক নিষ্ঠুর আয়োজন। আজ আইন মন্ত্রণালয়ের এ বেআইনি সিদ্ধান্ত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে বাধা দেয়ারই অংশ। আইন মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জনগণ এ সিদ্ধান্ত ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।