দেশে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সময়মতো শেষ হচ্ছে না। বিদেশি ঠিকাদার থাকলে দ্রুত কাজ শেষ হয়ে যায়, কিন্তু দেশি ঠিকাদার হলে কাজ শেষ হতে অনেক দেরি হয়। বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাতে সিলেটে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ১১তম বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সংলাপের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
মোমেন বলেন, ‘সিলেটেরে ক্ষেত্রে এটা একটা বড় সমস্যা। এখানকার উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ খুব ধীরগতিতে হচ্ছে। সিলেটের বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ চলছে, কিন্তু খুবই ধীরগতিতে হচ্ছে। সিলেট-ঢাকা সড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজও ধীরে আগাচ্ছে।
‘বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। দেশের উন্নয়নে সরকার অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছে, কিন্তু উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সময়মতো শেষ হচ্ছে না।’
কাজ শেষ হতে দেরি হলে প্রকল্প পরিচালককে শাস্তির মুখোমুখি করা হলে, কাজ সঠিক সময়ে শেষ হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশে এমন শাস্তির ব্যবস্থা আছে।’
ভারতের ভিসা পেতে দুর্ভোগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তারা অনেক ভিসা দেয়। প্রতিদিন প্রায় নয় হাজার ভিসা দেয়। আমি এ বিষয়ে তাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি।
‘রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, প্রয়োজনে ভিসা সিস্টেমই বাদ দাও। ভারতের সঙ্গে নেপালের ভিসা লাগে না; আমাদের কেন লাগবে।’
বিমানের গৌহাটি-ঢাকা ফ্লাইট শীঘ্রই চালু হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম গৌহাটি-সিলেট-ঢাকা এয়ারলাইন্স চালুর, তবে বিমান কর্তৃপক্ষ ঢাকা-গৌহাটি ফ্লাইট চালুর পক্ষে। আশা করছি দ্রুতই এটি চালু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের শিক্ষা-সংস্কৃতির সঙ্গে আরও সুসম্পর্ক তৈরি করতে চায়। কেননা, ভারত ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ভাষাগত অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে।’
সংলাপ উপলক্ষে ভারত থেকে ১৪০ জনের একটি প্রতিনিধি দল সিলেটে আসেন।