ইসরায়েলে হামলা চালাতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সহযোগিতা করে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। এ অপারেশন চালাতে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে আলোচনা করে ইরান।
সোমবার (৯ অক্টোবর) হামাসের সিনিয়র সদস্য এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ডে এমন ভয়াবহ হামলা চালোনার পরিকল্পনা পেছনে ইরানের ইসলামিক রেভুলেশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রতিবেদন বলেছে, গেলো আগস্ট থেকে আকাশ পথ, স্থল পথ এবং সমুদ্র পথ ব্যবহার করে কীভাবে ইসরায়েলে হামলা চালানো যায় তার পরিকল্পনা করে ইরানের ইসলামিক রেভুলেশনারি গার্ড। ১৯৭৩ সালের ইয়ম কুপার যুদ্ধের পর ইসরায়েলে চালানো হামলার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।
কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলা সংঘর্ষের সবচেয়ে বড় পরিণতি দেখল ইসরায়েল। হামাসের হামলায় দেশটির ৭০০ জনের অধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৪০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, ইসরায়েলে হামলার জন্য বৈরুতে একাধিকবার মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন-আইআরজিসি অফিসার, ইরানের ৪ সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধি, হামাস, গাজার গর্ভনর এবং হিজবুল্লাহ।
তবে ইরান এ হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত আছে কিনা এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নয় যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইরান এ হামলার নির্দেশ দিয়েছে অথবা এর পেছনে রয়েছে- এ ধরনের কোনো প্রমাণ আমরা এখনো পাইনি। তবে এটি ঠিক- এর সঙ্গে ইরানের দীর্ঘ সূত্রতা আছে।’
ইউরোপের এক কূটনৈতিক এবং সিরিয়ার সরকারের এক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ইসরায়েলে হামলার ক্ষেত্রে ইরান পুরোপুরি সহায়তা করেছে।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি রোববার বলেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় তেহেরান তাদের সমর্থন করবে। কারণ ইসরায়েল এ অঞ্চলের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।
টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে রাইসি বলেন, ফিলিস্তিনিদের বৈধ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ইরান সমর্থন করে।