নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় পরাজয় দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ধর্মশালায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ইংলিশরা। দ্বিতীয় ম্যাচের পরাজয় তাদেরকে অনেকটাই পিছিয়ে দেবে বলে মনে করেন ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোন। ইংলিশ এই অল রাউন্ডার অবশ্য স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে তারা পুরোপুরি প্রস্তুত। যদিও ম্যাচটি নিয়ে দলের সব খেলোয়াড়ই দারুন উত্তেজনায় ভুগছেন।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪৫৭ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এ স্টেডিয়ামটি ভারতের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু। যে কারণে এখানকার আবহাওয়াও অন্য যেকোন ভেন্যুর তুলনায় একেবারেই ভিন্ন। একইসাথে প্রাকৃতিক নৈস্বর্গিক দৃশ্যের কারণে ইতোমধ্যেই স্টেডিয়ামটি পুরো বিশ্বের নজড় কাড়তে সক্ষম হয়েছে। খেলোয়াড়রাও এখানে খেলতে এলে ভিন্ন এক অনুভূতি নিয়ে মাঠে নামে। আর সে কারণেই ম্যাচের পাশাপাশি ধর্মশালায় খেলতে এসে বাড়তি এক এক্সাইটমেন্টও কাজ করছে ইংলিশ খেলোয়াড়দের মনে।
মে মাসে ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে এই মাঠে খেলতে এসে লিভিংস্টোন ৪৮ বলে ৯৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে লিভিংস্টোন যেন মাঠের চারদিকের পাহাড়গুলোকে স্পর্শ করতে চেয়েছিলেন। লিভিংস্টোনের বিশ্বাস এখানকার পিচ সম্ভবত ইংল্যান্ডের মতো এবং এখানে খেলতে আসলে মনে হয় নিজ দেশেই তিনি খেলছেন। এ কারণে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের জন্য ধর্মশালা অন্য যেকোন মাঠের চেয়ে বেশি প্রিয়।
তিনি আরো বলেছেন, ‘এটা সত্যিই অসাধারন একটি মাঠ। এখানে ব্যাট করতে নামাটাও ভিন্ন। কারণ এখানকার উচ্চতার কারনে বল দারুনভাবে উড়ে যায়। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারলে এখানে অনেক রান করা সম্ভব। একের পর এক বাউন্ডারি মারতে পারলে আত্মবিশ^াসও বেড়ে যায়। আমাদের লাইন-আপে যে পরিমান সাহসী ব্যাটার আছে তাতে আমি সত্যিই আশাবাদী।’
লিভিংস্টোন আরো বলেছেন প্রথম ম্যাচে হারের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের পরিকল্পনা থাকবে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা। এখানে পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই। একটি ম্যাচে হার মানেই টুর্ণামেন্ট শেষ হয়ে যাওয়া নয়। দল হিসেবে খেললে অবশ্যই জয় পাওয়া সম্ভব।
বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে জো রুট বলেছিলেন রাতের বেলা পুরো পরিস্থিতি একেবরেই পাল্টে গিয়েছিল, ফ্লাড লাইটে নিউজিল্যান্ড তাদের শক্তির পরিচয় দিয়েছে। যদিও ধর্মশালায় এই ধরনের পরিস্থিতির কোন সম্ভাবনা নেই। দিবা-রাত্রির ম্যাচে ইংল্যান্ড-বাংলাদেশের মুখোমুখি হচ্ছে। তবে লিভিংস্টোন মনে করেন এই ইস্যু পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে চলবে। তার মতে, ‘এ কারণে বিশ্বকাপে আরো অঘটনের জন্ম হবে। এই ধরনের ম্যাচে প্রথম ইনিংসের তুলনায় দ্বিতীয় ইনিংসে পরিস্থিতি একেবারেই পাল্টে যায়। আশা করছি টসের সময় জস বাটলার সব সুবিধা আদায় করতে পারবে।’