রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের মেসের বাবুর্চি ও মেসবয়দের নিয়ে আনন্দ অনুষ্ঠান আয়োজন এবং ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ডিএমপির ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)কমিশনার হাবিবুর রহমান। ডিএমপি’র নবনিযুক্ত এই কমিশনারের নির্দেশনায় ডিএমপির ইতিহাসে এমন আয়োজন এবারই প্রথম।
মঙ্গলবার(১০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রাজারবাগে এই আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান নিজেই। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,ডিএমপির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেসের বাবুর্চি ও মেসবয়দের জন্য ‘রন্ধনের বন্ধনে’ নামে এক অনন্য আনন্দ আয়োজন করেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ১৪টি মেসের বাবুর্চি ও মেসবয়দের সঙ্গে তিনি এক টেবিলে বসে খাবার খান। তাদের সঙ্গে মেতে ওঠেন গান, কবিতা আর গল্পে। সব মিলিয়ে রূপ এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশের তৈরি হয়।
আনন্দ আয়োজনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে আমি ফোর্সদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার খেয়েছি, খাবারের মান অত্যন্ত ভালো ছিল। ভবিষ্যতেও প্রত্যেক মেসের বাবুর্চিদের রান্না মনিটরিং করা হবে। যাদের রান্না ভালো হবে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। রন্ধন একটি শিল্প। কোনো কাজই ছোট নয়। বাবুর্চি হলেও আপনাদের কাজকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
আনন্দ আয়োজনে ফোর্সবান্ধব কমিশনারকে কাছে পেয়ে যেন আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন সবাই। প্রত্যেকের কথা অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শুনেন নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রায় ২শ জন বাবুর্চি ও মেসবয় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাবুর্চি-মেসবয়রা যার যার প্রতিভা দিয়ে গান, কবিতা ও গল্প শুনিয়ে মুগ্ধ করেন ডিএমপি কমিশনারকে। অনুষ্ঠান শেষে বাবুর্চি ও মেসবয়দের মধ্য থেকে র্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এর আগে ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্সের মেস, ব্যারাক ও ক্যান্টিন পরিদর্শন করেছিলেন। সদস্যদের মেসে গিয়ে ফোর্সের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার খান।
এর আগে ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্সের মেস, ব্যারাক ও ক্যান্টিন পরিদর্শন করেছিলেন এবং মেসে গিয়ে ফোর্সের সাথে এক টেবিলে বসে খাবার খেয়ে খাবারের মান যাচাই করেছেন কমিশনার।
এসময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) সাইফুল্লাহ আল মামুন,উপ-পুলিশ কমিশনার (পিওএম-পূর্ব বিভাগ) সালমা সৈয়দ পলি,উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগ) আর এম ফয়জুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।