আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

রেলওয়ে কর্মকর্তা হত্যা: ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর

রেলওয়ে কর্মকর্তা হত্যা: ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর

চট্টগ্রাম রেলওয়ের কর্মচারী শফিউদ্দিন হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে। ফাঁসি কার্যকরের পর রাতেই দুইজনের মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়।

গেলো মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জেল সুপার শাহ জাহান আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছন। 

দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন: নাইমুল ইসলাম ইমন ও শিপন হাওলাদার। শিপন হাওলাদারের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ায় হলেও থাকতেন চট্টগ্রাম নগরের খুলশীর দক্ষিণ আমবাগানে। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের নাইমুল ইসলাম ইমন থাকতেন চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার ডেবারপাড় এলাকায়।

সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, গেলো রাতে ফাঁসির আগে তাদের শারীরিক অবস্থা চেক করা হয়েছে। দুজন সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ১৯ জন স্বজন তাদের সঙ্গে দেখা করেন। রাতে তওবা পড়ানোর পর দুই আসামিকে ফাঁসির মঞ্চে নেয়া হয়। কুমিল্লা কারাগারের জল্লাদ সিরাজ উদ্দিন নাসির এ ফাঁসি কার্যকর করেন।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আসাদুর রহমান বলেন, দণ্ডিত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে ২০২০ সাল আর অন্যজনকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।

গেলো ২০০৩ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীর উত্তর আমবাগান রেলওয়ে কোয়ার্টারের বাসায় ঢুকে রেলওয়ে কর্মচারী শফিউদ্দিনকে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করা হয়। এ সময় মৃত্যু নিশ্চিত করে আতঙ্ক ছড়াতে এলাকায় বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাহমুদা বেগম খুলশী থানায় খুনের মামলা করেন।

এদিকে, ২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২৩ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আসামি শিপন ও ইমনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এছাড়া ৭ আসামিকে যাবজ্জীবন ও খালাস দেয়া হয় ৪ জনকে। পরে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করে। 

তবে ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত তা খারিজ করে দেয়। পরে সবশেষ চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ-ভিক্ষার আবেদন করা হলে তাও খারিজ হয়ে যায়।

তাসনিয়া রহমান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন রেলওয়ে | কর্মকর্তা | হত্যা | ২ | আসামির | ফাঁসি | কার্যকর