আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফেঁসেছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুক

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফেঁসেছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুক
মুক্তিযুদ্ধের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুককে। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অনুসন্ধান শুরুর সাত বছর পর তদন্ত শেষে ৩ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। তদন্ত সংস্থা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় এই প্রতিবেদন দাখিল করে। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার গণমাধ্যমেকে জানান তারা এই প্রতিবেদনটি পেয়েছেন। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীও ঠিক করা হয়েছে। এ মামলায় নিয়োগ পাওয়া প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন বলেন যুদ্ধাপরাধের প্রমান মিলেছে ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে। পর্যালোচনার পর পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। এর আগে ২০১৬ সালের ৪ মে তদন্ত সংস্থার সংবাদ সম্মেলনে ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু করার কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তদন্ত সংস্থা থেকে বলা হয়, ১৯৭১ সালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন ১১ জনের একটি তালিকা নিয়ে কাজ করছে তারা। তাদের অধিকাংশই সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা কর্মকর্তা ছিলেন। ওসমান ফারুক তখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রিকালচার ইকোনমি অনুষদের রিডার ছিলেন। ১১ জনের তালিকায় তার নামও রয়েছে। জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তদন্ত শুরুর পর গোপনে দেশ ছাড়েন ওসমান ফারুক। ২০১৬ সালের মে মাসে সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র চলে যান তিনি। বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছাড়তে গেলে বাধার সম্মুখীন বা গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা থেকেই সীমান্তপথ বেছে নেন ওসমান ফারুক। একটি সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বব্যাংকের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ড. ওসমান ফারুক সে সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির হাইকমান্ডের পরামর্শেই ওই সময় দেশ ছাড়েন তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মানবতাবিরোধী | অপরাধ | মামলায় | ফেঁসেছেন | সাবেক | শিক্ষামন্ত্রী | ওসমান | ফারুক