‘ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজ হকার মুক্ত দেখতে চাই। যদি এখানে কোনো হকার বসে তাহলে এটি নষ্ট হয়ে যাবে। এখানে মানুষজন চলতে কষ্ট পাবেন।’ বলেছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আজ রোববার (১৫ অক্টোবর) ফার্মগেটের ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘ডিএনসিসি ও ডিএমপি মিলে ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজ হকার মুক্ত দেখতে চাই। কারণ ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজ আমাদের একটি হার্ট। যদি এখানে কোনো হকার বসে তাহলে এটি নষ্ট হয়ে যাবে। এখানে মানুষজন চলতে কষ্ট পাবেন। এখানে যেন কোনো হকার না বসতে পারে এবং কোনো ভবঘুরে যেন না থাকতে পারে এ জন্য আমি ডিএমপি কমিশনারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনারের কাছে হকার উচ্ছেদের বিষয়ে আমার কোনো সুপারিশ কল যাবে না। ফুটওভার ব্রিজের ওপর কোনো কাউন্সিলর দোকান বরাদ দিতে পারবে না। আমরা হকারমুক্ত ফুটওভার ব্রিজ করে ইতিহাস গড়তে চাই।
মেয়র বলেন, ‘আমি একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্স উঠিয়ে দিয়েছিলাম। ওই পুলিশ বক্স উঠিয়ে দেওয়ার কারণ হচ্ছে, সেখানে ৮ ইঞ্চি ঢালাই দিয়ে পুলিশ বক্স বানানো হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি সিটি করপোরেশন জানে না। এখন ব্যাঙের ছাতার মতো বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন নিয়ে পুলিশ বক্স হচ্ছে। এতে শহরটা নষ্ট হয়ে যায়। শহর দেখতে ভালো লাগে না। আপনাদের বলতে চাই, আপনারা যেখানে পুলিশ বক্স বসাবেন আমরা নন্দিত পুলিশ বক্স বানিয়ে দেব।’
ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজ ঢাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজ। ব্রিজটি প্রায় ১৮ ফুট চওড়া। এখানে রয়েছে ৬টি পকেট, যেখানে দাঁড়িয়ে নিচের রাস্তাসহ আশপাশের সব দেখতে পারবেন পথচারীরা। আপতত ফুট ওভার ব্রিজটির দুই দিকেই শুধু ৩টি সিঁড়ি বসানো হয়েছে। তবে পরে ফুটওভার ব্রিজের দুই প্রান্তেই এক্সেলেটর এবং লিফট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শুধু সিঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে।