গাছম-ছম কী হয়, কী হয়… এবার হ্যালোইন হবে আরও রহস্যময়। এই হ্যালোইনের মাস জুড়ে মুক্তি পাবে চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘প্রচলিত’। সমাজে প্রচলিত বা প্রবাদ বাক্য অর্থাৎ যেসব কথা লোকমুখে প্রচারিত, সেগুলো নিয়ে এগিয়েছে সিরিজটির কাহিনি। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন মো: আবিদ মল্লিক।
সিরিজটিতে মোট ৫টি পর্ব রয়েছে। প্রতি বৃহস্পতিবার মুক্তি পাবে একটি করে নতুন পর্ব। রিংটোন (২৫ মিনিট), বিলাই (২৩ মিনিট), বেওয়ারিশ (২৬ মিনিট), কলিংবেল (২৯ মিনিট) ও হাতবদল (১৮ মিনিট) দর্শক চরকিতে দেখবে আগামী ১৯, ২৬ অক্টোবর, ২, ৯ ও ১৬ নভেম্বর।
সিরিজটি অভিনয় করেছেন মোস্তফা মন্ওয়ার, ইয়াশ রোহান, সাদিয়া আয়মান, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু, বায়োজিদ হক জোয়ার্দার, রফিউল কাদের রুবেল, মাহমুদ আলম, তনয় বিশ্বাস, ফারিন খান, রাফায়েতুল্লাহ সোহান, শাহানা রহমান সুমি, খালিদ হাসান রুমি, আশরাফুল আশীষ, অশোক বেপারীসহ আরও অনেকে।
ফোন বন্ধ থাকলেও কেন কল আসছে? কে কল দিচ্ছে? কী চাচ্ছে? ১৯ অক্টোবার সব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আসছে ‘প্রচলিত’-র প্রথম পর্ব ‘রিংটোন’। ২৫ মিনিটের এই পর্বে দেখা যাবে মোস্তফা মন্ওয়ার ও অশোক বেপারীকে।
সিরিজে নিজের চরিত্রটি প্রসঙ্গে মোস্তফা মন্ওয়ার বললেন, ‘চরিত্রটি খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। এক রাতের গল্প। একটা অপকর্মের পর থেকে ওই চরিত্রটি এক ধরনের ট্রমার মধ্যে দিয়ে যায়। এটা ফুটিয়ে তোলার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকেও। ট্রমা, তারপর শারীরিক কসরত (দৌড়াদৌড়ি, ছুটোছুটি) সব কিছু করাটা শারীরিকভাবে আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। সকালে যখন প্যাকআপ হলো তখন মোটামুটি অর্ধচেতন অবস্থা। গল্পের মধ্যে ওই চরিত্রটির যে অবস্থা, বাস্তবে আমারও একই অবস্থা দাঁড়িয়েছিল।’
সিরিজটি নিয়ে নির্মাতা আবিদ মল্লিক গণমাধ্যমে বলেন, ‘কাজের প্রয়োজনেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। প্রচলিত র গল্পগুলোর ভাবনা এইভাবেই হাঁটতে, চলতে, কখনো মানুষের মুখে, কখনো পড়ে, কিছু শৈশব থেকে ভাবনায় গেঁথে গেছে। সেই ভাবনাগুলোকেই সমসাময়িকায়তার চাদরে জড়িয়ে চেষ্টা করেছি এই সময়কে প্রতিফলিত করার।’
কাজটা করতে গিয়ে কেমন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয়েছে জানিয়ে আবিদ বলেন, ‘আসলে যেকোনো প্রোডাকশনেই চ্যালেঞ্জ থাকে। রাইটার্স রুম থেকে শুরু করে লোকেশন খোঁজা, প্রোডাকশন ডিজাইন, রাতভর শ্যুটিং শেষে পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ, পুরোটাতেই চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু এই প্রজেক্টের সাথে সম্পৃক্ত সবার সহযোগিতা ছিল বলেই শত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও কাজটা আমরা ঠিকঠাকভাবে করতে সক্ষম হয়েছি।’
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে সিরিজটির শুটিং হয়েছে ঢাকা, মানিকগঞ্জ ও সাভারের বিভিন্ন লোকেশনে। সিরিজটির সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন রাজু রাজ। মিউজিক ও ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর করেছেন খৈয়াম সানু সন্ধি। সম্পাদনার কাজটি করেছেন সবুজ শেখ। কালার গ্রেডিং-এ ছিলেন আশরাফুল আলম ও সাউন্ড ডিজাইন করেছেন রিপন নাথ।