আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন হাদিসুর

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন হাদিসুর

পারিবারিক গোরস্তানে দাদা-দাদির কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে বিমান হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমান আরিফ। 

আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল দশটায় হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ পড়িয়েছেন হাদিসুরের চাচা মাওলানা মনিরুল ইসলাম।

নামাজ শেষে বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের বাড়িতে দাদা মোতাহার হোসেন হাওলাদার ও দাদী রোকেয়া বেগমের কবরের পাশে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে হাদিসুরের মরদেহ দাফন করা হয়।

গেলো সোমবার (১৪ মার্চ) রাত ৯টা ৪০ মিনিটের সময় হাদিসুরের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

নিহত হাদিসুর রহমান আরিফ (৩৩) বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক মো. আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে হাদিসুর দ্বিতীয়। তিনি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে প্রকৌশলী পদে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে, গেলো সোমবার (১৪ মার্চ) সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হাদিসুরের মরদেহ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌছায়। লাশ গ্রহণ করেন হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর ১ টার দিকে লাশ নিয়ে হাদিসুরের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার উদ্দেশে রওনা হন তার স্বজনরা।

গেলো ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে আটকা পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। ২ মার্চ রাত ৯টা ২৫ মিনিটে জাহাজটিতে বিমান হামলা হয়। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। জাহাজে থাকা নাবিকরা সবাই মিলে আগুন নেভায়। হামলায় জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমান আরিফ মারা যান।

এর পরপরই জাহাজে থাকা নাবিকরা ভিডিও বার্তায় তাদের নিরাপদে উদ্ধারে আকুতি জানায়। পরদিন ৩ মার্চ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় দিকে জাহাজের জীবিত ২৮ নাবিককে ইউক্রেনের একটি বাংকারে নেয়া হয়। পরে তাদের নিরাপদে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।

গেলো বুধবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টায় ইউক্রেনে আটকে পড়া জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধির’ ২৮ নাবিক দেশে পৌঁছান।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন চিরনিদ্রায় | শায়িত | হাদিসুর