আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

চীনে ফের লকডাউন

চীনে ফের লকডাউন

কোভিড-১৯ এর জন্মস্থল চীনের বেইজিংসহ বেশ কয়েকটি শহরে আবারো লকডাইন ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রভাবে চীনে আবার বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। এর মধ্যে জিলিন প্রদেশে শনাক্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। 

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ভয়েজ অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেলো সোমবার (১৪ মার্চ) দেশটিতে একদিনে এক হাজার ৩৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা গেল দুদিনের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। এর মধ্যে জিলিন প্রদেশে শনাক্তের হার সবচেয়ে বেশি।

চীন এখন পর্যন্ত কোভিড নিয়ন্ত্রণে বড় ধরণের সফলতা দেখালেও আবার তা হুমকির মুখে পরেছে। এ অবস্থায় সংক্রমণ রুখতে দেশটির কয়েকটি শহরের প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ লোককে লকডাউনের আওতায় এনেছে দেশটির সরকার। করোনা শনাক্তের হার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এখনো চীনের করোনা সংক্রমণ যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম হলেও এটাকে বাড়তে না দিতেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় লকডাউনের আওতায় থাকা মানুষদের ফের ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যে দেখা গেছে, আজ মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ৫১২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৯ কোটি ৩১ লাখ ৬২ হাজার ৫৭৯ জন। এ ছাড়া মারা গেছেন ৬০ লাখ ৬৭ হাজার ১৫৭ জন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের শেষের দিকে চীনের উহান শহরে প্রথমে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর তা অতি দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। চীন তখন দ্রুত লকডাউন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং গণপরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাসটির বিস্তার রোধ করে। কিন্তু দ্রুত সংক্রমিত ওমিক্রন ধরণের বিস্তার এবং উপসর্গবিহীন রোগী বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি সার্বিক সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে যেটি 'শূন্য কোভিড নীতি' ব্যাহত করেছে।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন চীনে | ফের | লকডাউন