আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

হইয়াও হলো না

হইয়াও হলো না

যে মানুষটা চাইলেই ভালো খেলতে পারেন, যিনি কিনা হতে পারেন পুরো গেম চেঞ্জার। তার ব্যাটে যখন রানের ফোয়ারা ফুটে তখন যে কারোর-ই মন ভালো হয়ে যাওয়ার কথা। বাংলাদেশের টিভি সেটের সামনে বসে সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়নে মাঠে সাকিকের এমন মধুর কীর্তি দেখার দৃশ্য মিস করার কোনো কারণ নেই।       

শতক হাঁকানোর পর  ক্যারিয়ারের দশম শতকের দিকে যাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ৭৭ রান করে লুঙ্গি এনগিডির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। 

নানা নাটকের নাটকীয়তা। যার মূল চরিত্রে একমাত্র তিনিই। দক্ষিণ আফ্রিকার যাওয়া না যাওয়ার যে নাটক তিনি চিত্রায়ন করেছিলেন তার মধুরেণ সমাপয়েৎ হয় তার প্রোটিয়ার সফরে গিয়ে। 

জায়গায় বদল করলে হয়তো মন  ভালো হবে। এমনটাই ছিলো তার মূল বক্তব্য। সত্যিই মনে হয় মনটা তার ভালো হয়েছে। বিমান থেকে নেমে সোজা জোহানেসবার্গ স্টেডিয়ামে তার অনুশীলনে মনযোগ দেওয়ার দৃশ্য দেখে হয়তো বিসিবি সভাপতি ঢাকায় বসে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন।    

আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতেই অর্ধশতক হাঁকিয়ে সাকিব আল হাসান স্পর্শ করলেন ক্যারিয়ারের ৫০তম অর্ধশতক। 

একই সাথে  আট মাস পর  হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেন  তিনি। সবশেষ  ২০২১ সালের জুলাইতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন হইয়াও | হলো