ইসরায়েলি হামলায় অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু, অলৌকিকভাবে সন্তানের জন্ম
তার ক্ষুদ্র শরীরকে প্রায় গ্রাস করে ফেলেছে পরনের ডায়পারটি। তাকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। শরীরে বেশ কিছু টিউব লাগিয়ে রাখা হয়েছে। গাজার আল-শিফা হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে একটি সদ্যোজাত শিশু এভাবেই ঘুমিয়ে আছে। হাসপাতালটির নবজাতক ইউনিটে ডা. নাসের বুলবুলের অধীনে শিশুটি চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি অন্তঃসত্ত্বা মায়ের মৃত্যুর পর জন্ম নিয়েছে তার সন্তান। হামাস নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডটির দক্ষিণাঞ্চলের আল শিফা হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিহত ওই নারীর ডেলিভারির মাধ্যমে সদ্যজাত শিশুটিকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাসের বুলবুল বলেন, ৩২ সপ্তাহের গর্ভবতী মৃত মহিলার উপর একটি জরুরী সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়েছিল। শিশুটিকে তার মা’র গর্ভ থেকে জীবিত এবং ক্ষীণ হৃদস্পন্দনের সাথে বের করে আনা হয়েছিল। ১০ দিনের এই শিশুটি ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ‘বিজয়ের প্রতীক’। শিশুটিকে বাঁচাতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। শিশুটির অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। সে আমাদেরকে সাহস দিচ্ছে যে, আমরা এই কঠিন দিনগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো। যতবার আমি তাকে চেক-আপ করি, আমি দুঃখ এবং বেদনায় আঁকড়ে পড়ি।
তিনি আরো বলেন, আমরা ১৩ অক্টোবর কামাল আদওয়ান হাসপাতাল থেকে ফোন পায়। জানতে পারেনি সেখানে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী রয়েছেন যিনি তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছেন। তার বাড়িতে বিমান হামলা হয়। ওই হামলায় তার স্বামীসহ ১০ জন মারা যায়।
ইসরাইলের বোমা হামলায় গাজায় মোট নিহতের ৪০ শতাংশই শিশু। গেলো ৭ অক্টোবরের পর থেকে প্রতিদিন ১০০টিরও বেশি শিশু নিহত হচ্ছে। প্রতি ১৫ মিনিটে এই সংখ্যা ১৫ জন।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট নিহতের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ২ হাজার ৫৫ জন। আহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৬০০ জন। শিশুদের ওপর যুদ্ধের প্রভার শুধু নিহতের সংখ্যা অথবা শারীরিক আঘাতেই থেমে নেই। তাদের ওপর পড়ছে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক প্রভাব। বাড়ছে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি।
🚨 URGENT UPDATE: Doctors in #Gaza have issued an urgent warning that the lives of 130 premature babies are in imminent danger if fuel does not reach hospitals soon.