‘বর্তমানে আমার নিজস্ব কিছু নেই, কোথাও যাওয়ার নেই, এ বিষয়টি খুবই শূন্যতার জন্ম দেয়।’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এভাবেই এক নির্মম বাস্তবতার কথা তুলে ধরলেন আফগানিস্তানের অন্যতম এই প্রভাবশালী ব্যক্তি।
নাম তার খালেদ পায়েন্দা। আফগানিস্তানের এক সময়ের অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তালেবানদের আফগানিস্তান দখলের এক সপ্তাহ আগেই মন্ত্রিত্ব ছাড়েন। গ্রেপ্তার এড়াতে আফগানিস্তান ছেড়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে। ওইখানে গিয়ে এখন তিনি উবার চালাচ্ছেন।
এক সময় আফগানিস্তানের এই ব্যক্তির হাত দিয়েই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বাজেট পাস হয়েছে, সেই হাত দিয়েই এখন ধরতে হয়েছে ড্রাইভিং হুইল!
তবে কাবুল থেকে ওয়াশিংটনে গিয়ে উবার চালিয়ে একেবারে নাখোশ নন পায়েন্দা। পরিবারকে সহায়তা করতে পারছেন, এ কারণে অনেকটাই খুশি তিনি।
তার মতে, আফগানদের সংঘবদ্ধ হওয়ার খুব একটা ইচ্ছা নেই। তবে ৯/১১-এরপর আফগানিস্তানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র প্রতারণা করেছে, প্রথম দিকে সব কিছু ঠিক থাকলেও পরবর্তীতে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সরে যায় বলেও মনে করেন তিনি।
যেদিন তালেবানদের হাতে আফগানিস্তানের পতন হয়েছিল, সেই সময় বিশ্বব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে দেয়া এক বার্তায় পায়েন্দা বলেছিলেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করতে ২০ বছর সময় হাতে পেয়েছিলাম, তবে আমরা এমন একটি তাসের ঘর বানিয়েছি যা সম্পূর্ণই নৈরাজ্যে ভরা।’ সূত্র: গার্ডিয়ান
তাসনিয়া রহমান
