দেশের অস্তিত্ব যদি হুমকির মুখে পড়ে তাহলে পারমাণবিক বোমা প্রয়োগ করতে পিছ পা হবে না রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই চরম বার্তা দিল ক্রেমলিন।
আজ বুধবার (২৩ মার্চ) স্থানীয় সময় সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ বার্তা দেন। সূত্র: আল জাজিরা
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার একটি ধারণা আছে এবং তা সর্বজনীন। কোন কোন ক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে, তার সমস্ত কারণ পড়তে পারেন আপনিও।’
‘তাই কোনো পরিস্থিতি যদি তাদের দেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়; তবে সেই নিয়ম অনুসারে তা ব্যবহার করা যেতে পারে।’
এদিকে, পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কারবি পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহারের বিষয়ে মস্কোর বক্তব্যকে ‘বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
জন কারবি বলেন, ‘কোনও দায়িত্বশীল পারমাণবিক শক্তির এভাবে কাজ করা উচিত নয়।’
তিনি আরও জানান, ‘আমরা বিষয়টির উপর ধারাবাহিক ভাবে নজর রেখে চলেছি।’
গেলো মাসে পুতিন রাশিয়ার পারমাণবিক বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গেলো ১৪ মার্চ বলেছিলেন, পরমাণু সংঘাতের সম্ভাবনা, যা একসময় কল্পনাও করা যেত না, এখন তা সম্ভব হতে যাচ্ছে।
পুতিনের ইউক্রেনে রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্র ব্যবহার করার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর তাদের এই কৌশলকে ক্রমবর্ধমান ‘নিষ্ঠুর’ আচরণ হিসাবে বর্ণনা করার পরেই পেসকভ এই মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, গেলো বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন ৩০ লাখের বেশি মানুষ। এছাড়া যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১২ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৬৩৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৬ শিশু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
তাসনিয়া রহমান