আমাদের দেশে মার্কিন সরকারকে নিয়ে সব লোক খেলা করছে। এটা খেলার মতো হয়ে গেছে। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (১ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের তথাকথিত ‘ভুয়া’ উপদেষ্টা মিঞা জাহিদুল ইসলাম আরেফীকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন অত বোকা লোক না। তার নাকি উপদেষ্টা। এটা খুব দুঃখজনক, লজ্জাজনক। একটা ভুয়া লোক, সে অভিযোগ করে এবং সে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির কার্যালয়ে। শুধু সংবাদ সম্মেলন না, এর আগে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে। তারপর যখন সংবাদ সম্মেলন করে তার পাশেই বিএনপির নেতারা বসা ছিলেন।
ঢাকায় ২৮ অক্টোবরের সংঘাত-সহিংসতা নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছে সরকার। সরকারের পদক্ষেপের পর বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের অবস্থান নিয়ে ঢাকায় বিদেশি দূতাবাসগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়।
বিদেশি মিশনগুলোতে বিএনপির পাঠানো চিঠির ইঙ্গিত করে মোমেন বলেন, বিএনপি সব সময় ভুয়া তথ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তারা একটা বর্ণনা দিয়েছে বলে শুনেছি। তাদের বর্ণনার মধ্যে ভুয়া এবং মিথ্যা তথ্য বেশি থাকে।
তিনি বলেন, তার নমুনা হচ্ছে, একটা ভুয়া লোককে এনেছে; যেন আরও সহিসংতা হয়। মার্কিন দূতাবাস ডিসক্লেইম করেছে। আমার মনে হয়, তারা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের তথাকথিত উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ঢাকার মার্কিন দূতাবাস কনস্যুলার অ্যাক্সেস চেয়েছে। সেটি দেয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কনস্যুলার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখে। আমাদের আইন আছে সেই অনুযায়ী অনুমতি দেয়া হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অবশ্যই হবে। আমাদের শাসনতন্ত্রের নিয়মে নির্বাচন হবে।
প্রসঙ্গত, গেলো শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের পর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক মিয়া আরেফী। তিনি নিজেকে পরিচয় দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা হিসেবে।
পরদিন রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্টের তথাকথিত উপদেষ্টাকে দেশের বাইরে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে সোমবার আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।