অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান সারোয়ারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী আল ফারাবীর আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন আসামি সারোয়ারকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ মাতুব্বর। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ভাংচুরের অভিযোগে খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পল্টন মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০/৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩ টা ১০ মিনিটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের উসকানি ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পল্টন থানাধীন পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করে এবং পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতি সাধন করে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইন্সের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তির রক্ষার্থে তাদের নিবৃত করতে গেলে তিনদিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন এবং এএসআই এরশাদুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ মামলার উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক এবিএম রাজ্জাক, মিডিয়া সেলের আহবায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি খন্দকার এনামুল হক এনাম।