প্রতিপক্ষ মঙ্গোলিয়া যখন তখন সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে গোলের বন্যা বয়ে যাওয়ার ভাবনা ছিলো। কিন্তু হলো না! না হওয়াটা স্বাভাবিক বলে মনে হতে পারে অনেকের কাছে। কারণ বর্তমান সময়ে দেশের ফুটবলের যে অবস্থা তাতে গোল না হওয়াটা খুবই সাধারন বিষয়।
একের পর একস সুযোগ পেয়েও মঙ্গোলিয়ার জালে বল ঢোকাতে পারেনি জামাল ভূঁইয়ার দল। যে দলটির বিপক্ষে গোলের উৎসবে মেতেছে বড়দলগুলো সেই দলটির বিপক্ষে একটি গোলও আদায় করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
অথচ নিজেদের মাঠ, নিজেদের ভেন্যুতে রীতিমত ছড়ি ঘোরানোর কথা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে উত্তেজনা বাড়লেও প্রথমার্ধে ছিলো গোলশূণ্য। বিশেষ করে ম্যাচের ৪০ মিনিটে সুমন রেজার শর্ট গোলবারে ধাক্কা না খেলে হয়তো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় গোলটা পেয়ে যেতেন তিনি। প্রথমার্ধের শেষ মুহুর্তে অধিনায়ক জামালের ফ্রি কিক থেকেও এগিয়ে যেতে পারেনি লাল-সবুজরা।
তবে প্রথমার্ধ শেষে বাংলাদেশের প্রাপ্তি প্রতিপক্ষকে কোনো কাউন্টার অ্যাটাকে যেতে দেয়নি স্বাগতিকরা।
আজ থেকে একুশ বছর আগে ফুটবল মাঠে মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দেখা হয়েছিলো। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই ম্যাচের প্রথমটিতে বাংলাদেশ ৩-০ গোল জিতেছিলো আর ফিরতি ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র হয়েছিলো। সৌদি আরবের দাম্মাম থেকে বাংলাদেশের সিলেট শহর। মাঝের একুশ বছরে ফুটবলের গ্রাফটা দেখলে দুই দেশের কারোরই উন্নতি হয়নি। ফিফার র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৬ আর মঙ্গোলিয়া ১৮৪।
হাসিব মোহাম্মদ