লুজ বা খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রাখতে হবে। তবে বাড়ি, ফ্যাক্টরী, প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র নিয়ে ক্রয় করতে হবে। তা পাম্পে দেখাতে হবে। পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত রেজিস্টারে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে-
অবরোধ ও হরতালের নামে একটি বিশেষ মহল গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে নিরীহ নাগরিকদের হতাহতকরণসহ নাশকতা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পাদনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চলছে। চলমান নাশকতার সহজ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে কেউ যেন পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করাকে বেছে নিতে না পারে এবং পেট্রোল পাম্প থেকে পেট্রোল/জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে সে লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) সই করা নিম্নবর্ণিত নির্দেশনা প্রদান করেছেন-
১. পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সকল ধরনের নাশকতা রোধকল্পে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করবেন।
২. সহকারী পুলিশ কমিশনারগণ এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থিত পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন এবং কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
৩. প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন সমূহের মালিকগণের সাথে সমন্বয় পূর্বক নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থাসমূহ নিশ্চিত করবেন:
(i) নিজ নিজ পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক (২৪/৭) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
(ii) প্রত্যেক পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রিকালীন ছবি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন।
(iii) সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত/ অপারেশনস্), অফিসার ইনচার্জ, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন।
(iv) পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপন সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে উক্ত সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করবেন।
(v) রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ঐ সময়ে সকল ধরণের যানবাহন পেট্রোল পাম্পে প্রবেশ করতে না দেওয়া।
(vi) লুজ/খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রাখা তবে বাড়ি/ফ্যাক্টরী/প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বিক্রি করা এবং পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা।
(vii) পেট্রোলিয়াম বিধিমালা ২০১৮ এর লাইসেন্সের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যে কোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।