আড়াই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ কোরআন শরিফ মুখস্থ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ১৪ বছর বয়সী কিশোরী আছমা আক্তার বৃষ্টি। কোরআন শরিফ মুখস্ত করে একজন শিক্ষার্থীর হাফেজ হতে চার বা পাঁচ বছর সময় লাগে, সেখানে নরসিংদীর রায়পুর উপজেলার আব্দুল্লাপুর গ্রামের মৃত আসাদ মিয়ার এই মেয়ে সময় নিয়েছে মাত্র ৭০ দিন।
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার উত্তর আলগী কুহিনূর কালিম মহিলা মাদ্রাসা থেকে হাফেজ সম্পন্ন করেছে।
শনিবার মাদ্রাসার পক্ষ থেকে এ উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিল ও সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চরসুবুদ্ধি বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক। এর আগে হাফেজা আছমাকে সম্মাননা স্মারক ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় মাদ্রাসার মুহতামিম, শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।
মাদ্রাসার শিক্ষকরা গণমাধ্যমকে জানান, ‘আছমা আক্তার বৃষ্টি রায়পুরার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। বাবার মৃত্যুর পর পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। খবর পেয়ে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মিজানুর রহমান তাকে মনোহরদী এনে এ মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে ভর্তি করান। প্রথম দিনেই সে পাঁচ পৃষ্ঠা কুরআন মুখস্থ করে ফেলে। এভাবে পাঁচ পারা মুখস্ত করার পর দৈনিক ১০ পৃষ্ঠা করে মুখস্ত করতে থাকে। ১৮ পারা শেষে দৈনিক ২০ পৃষ্ঠা করে মুখস্ত করতে থাকে। এভাবে মাত্র ৭০ দিনে সে পুরো কুরআন মুখস্থ করে ফেলে।
মুহতামিম মাওলানা মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন,‘মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তার মধ্যে ভিন্ন রকমের প্রতিভা দেখতে পাই। সে অনেক মেধাবী। তার ঐকান্তিক ইচ্ছা, শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাত্র ৭০ দিনে হিফজ সম্পন্ন করেছে। আল্লাহ তাকে অনেক বড় বানাবেন-এ দোয়া করি।’