দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। যানবাহন, কলকারখানার দূষিত ধোঁয়া তো আছেই, তার উপর যুক্ত হয় বিড়ি–সিগারেটের ধোঁয়াও। ধোঁয়ায় থাকা দূষিত ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রভাবে ফুসফুসে সংক্রমণ হয়। যার ফলেই মানুষ ‘ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ’ বা সিওপিডি-তে আক্রান্ত হন।
উপসর্গ:
শুরুর দিকে ঘুম থেকে ওঠামাত্র কাশি হতে থাকে, সঙ্গে শ্বাসকষ্টও হয়। কাশতে কাশতে কিছুটা কফ উঠলে কষ্ট খানিকটা কমে। এই রোগের ক্ষেত্রে যত দিন যায়, ফুসফুসের কোষগুলি অকেজো হতে শুরু করে। এই রোগে আক্রান্ত হলে ফুসফুসের মধ্যে দিয়ে বায়ু ঠিক মতো চলাচল করে পারে না। পরের দিকে কাজকর্ম না করলেও দমের ঘাটতি হতে থাকে। ফুসফুসের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠাণ্ডা লেগে, বুকে কফ বসে শুরু হয় প্রবল কষ্ট। প্রথম দিকে সে কষ্ট ওষুধে কমে৷ পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে হয়। ফুসফুসের অকেজো কোষগুলির আর মেরামতি হয় না। তবে ধূমপানের অভ্যাস ছেড়ে দিলে আর জীবনধারায় বদল আনলে এই রোগকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।
সিওপিডির সমস্যা থাকলে কী কী নিয়ম মেনে চলবেন?
১. ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত হাঁটাহাটি করতে হবে।
২. দিনে নির্দিষ্ট় সময় বরাদ্দ করে নিয়ম করে হালকা ব্যায়াম করুন। সিওপিডির ক্ষেত্রে ব্রিদিং এক্সারসাইজ বা প্রাণায়ম বেশ উপকারী।
৩. চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়ে়ঞ্জার টিকা নিন।
৪. প্রোটিনসমৃদ্ধ সুষম খাবার খান৷ সঙ্গে খান ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার- যেমন, টাটকা রঙিন শাকসব্জি ও ফল, শুকনো ফল, বাদাম।
৩. ধোঁয়া, ধুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। মনে করে মাস্ক ব্যবহার করুন। বিড়ি-সিগারেট থেকে দূরে থাকুন। প্যাসিভ স্মোকিংও চলবে না, আশপাশে কেউ ধূমপান করলে সেই স্থান থেকে সরে আসুন, নয়তো নাকে চাপা দিন।