‘বাংলাদেশের আসছে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তো আলাপ হয়েই গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তো আগেই আলোচনা করেছেন। ভারত বিশ্বে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। তারা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়।’ বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার(২০ নভেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাপানের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ভারত বাংলাদেশে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে চায় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত বিশ্বে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। তারা চায় প্রতিবেশি রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যাতে কোনো ভাটা না পড়ে।‘
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাপানিরা বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ খাত, বন্দর ও পর্যটন নিয়ে আগ্রহ জানিয়েছে।
ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক,ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে যোগ দিতে আসছে ২৩ নভেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এই বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যু থাকবে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এটি(এফওসি)রুটিন ওয়ার্ক (নিয়মিত বৈঠক)। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন নিয়ে আলাপ হবে না।’
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন,‘নির্বাচন নিয়ে তো আলাপ হয়েই গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তো আগেই আলোচনা করেছেন। ভারত বিশ্বে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ। তারা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়।’
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কী আলাপ হয়েছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভারত এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়, আমরাও চাই এটা।
“শান্তি ও স্থিতিশীলতা তারা সেটা চায় এবং তারা চায় বাংলাদেশের যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি, প্রক্রিয়াটা আছে, সেটা সমুন্নত থাকুক। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যাতে কোনো রকমের ভাটা না পড়ে।’
কমনওয়েলথের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন,‘তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমরা জানিয়েছি ‘ভেরি স্ট্রং প্রসেসেস' (মজবুত উদ্যোগ) এর মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’