আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে বর্তমান সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, ছেলে রাজিব আহমেদ পার্থ, স্ত্রী কল্পনা রাজিউদ্দিন, ভাই সালাউদ্দিন বাচ্চুসহ চারজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
বুধবার (২২ নভেম্বর) মনোনয়ন সংগ্রহের বিষয়টি প্রার্থীরা নিশ্চিত করেছেন।
একই পরিবারের চার জনের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি করেছে। বিষয়টিকে নেতৃত্বের জন্য পারিবারিক কোন্দল হিসেবেও দেখছেন অনেকে।
রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু রায়পুরার উপজেলার ৫ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য। তাছাড়া, তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রানালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সংসদ সদস্য'র ছেলে রাজিব আহমেদ পার্থ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, স্ত্রী কল্পনা রাজিউদ্দিন রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, এবং ভাই সালাউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজিব আহমেদ পার্থ বলেন, ২০১৪ সাল থেকে সংসদ সদস্য পদে আমি নিয়মিত দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দিয়ে যাচ্ছি। আমার বাবা ও মা সংগ্রহ করেছেন। তবে, তার চাচার (সালাউদ্দিন বাচ্চু) মনোনয়ন সংগ্রহের ব্যাপারে তিনি জানেন না বলে জানান। একই পরিবার থেকে চারজন একই দলের মনোনয়ন জমা দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে রাজি হননি তিনি।
বর্তমান সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিনের স্ত্রী কল্পনা রাজিউদ্দিন বলেন "আমাদের পরিবারের সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আওয়ামীলীগ ফিনানসিয়াল ফান্ড রিচ (আর্থিক তহবিল বৃদ্ধি) করার জন্য আমরা মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। আমাদের মধ্যে কোনো পারিবারিক দ্বন্দ্ব নেই। দ্বন্দ্বের বিষয়ে যে গুঞ্জন আছে, তা মিথ্যা, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ।"
সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিনের ছোট ভাই সালাউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু বলেন, "আমি রায়পুরা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা কাল থেকে কাজ করে আসছি। অধিকাংশ নেতা-কর্মী আমার হাতে গড়া। বর্তমান সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন যেহেতু মনোনয়ন ডিজার্ভ করে এবং সে মনোনয়ন জমা দিয়েছে, তাই গতকাল শেষ সময়ে আমিও আমার লোকজনদেরকে দিয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন জমা দিয়েছি। আমি শুনেছি ১২ জন ব্যক্তি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এবং যাকেই দল মনোনীত করবে, তার জন্য কাজ করবো।"
রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, "মনোনয়ন যে কেউ সংগ্রহ করতে পারেন। সবার মনোনয়ন সংগ্রহ করার অধিকার আছে। তবে, আমার ভাই মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন কিনা আমি ব্যক্তিগতভাবে অবগত নয়।"
তিনি আরও বলেন, ১/১১ এর পরেও আমি এলাকার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম না। আমি খেটে খাওয়া মানুষের রাজনীতি করি, আমার দলে কোনো শিল্পপতি নেই। রায়পুরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন এবং করবেন। তাছাড়া আওয়ামীলীগের কেন্দ্রও আমাদের অবদানের বিষয়ে অবগত আছেন।"