লোকচক্ষুর আড়ালে পাঁচ বছর লুকিয়ে প্রেম করেছিলেন রানি মুখোপাধ্যায় আর আদিত্য চোপড়া। শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালে দেশের বাইরে গিয়ে বাঁধা পড়েন দুজনে সাতপাকে। সম্প্রতি কফি উইথ করণ-এর শো-তে করণ জোহর ফাঁস করলেন মাত্র ১৮ জন উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে।
করণকে বলতে শোনা যায়, ‘আদিত্য পুরো পৃথিবীতে আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। রানি আর আদির বিয়ে একটা ডেস্টিনেশন ওয়েডিং ছিল। কোথায় তা হয়েছিল, আমি এত বছর পরেও কাওকে বলতে চাই না। কয়েক দশক পরে এসেও ওরা তা মেনে নেবে না জানি। ও (আদিত্য চোপড়া) তো আক্ষরিক অর্থেই আমাকে হুমকি দেয় প্রতি বছর যাতে দিওয়ালিতে তোলা আমাদের ছবিগুলো আমি ভুলেও না দেই সোশ্যাল মিডিয়াতে।’
করণ জোহর আরও বলেন, ‘ও আমাকে এসে বলে আমি আর রানি বিয়ে করছি। মাত্র ১৮ জন আমন্ত্রিত। আর এই বিয়ের খবর যদি বাইরে আসে, আমি বুঝব তুমিই বলেছো। কারণ তুমি ছাড়া কেউ আর মুখ খুলবে না। তখনও সংবাদপত্রেরই রাজত্ব চলছিল। আমি একেবারে ভয়ে কাঁটা হয়েছিলাম।’
করণ জানান মা হিরু জোহরের কাছেও মিথ্যে বলেছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের এপ্রিলে মুক্তি পাচ্ছিল টু স্টেটস সিনেমা। আর নিজের সিনেমার মুক্তির অনুষ্ঠান ছেড়ে খেতে গিয়েছিলেন আদিত্য-রানির বিয়ে। সকলকে বলেছিলেন, ম্যানচেস্টারে হওয়া একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে যেতেই হবে। সবাই খুব অবাকও হয়েছিল, কী করে কেউ সিনেমার মুক্তি ছেড়ে যেতে পারে ম্যানচেস্টারে।
রানিকে একেবারে পছন্দ করতেন না আদিত্যর মা-বাবা যশ ও পামেলা চোপড়া। ২০০১ সালে যশরাজ ব্যানারের হাত ধরেই কাজ শুরু করেছিলেন রানি মুখোপাধ্যায়। আর ওই বছরেই দীর্ঘদিনের প্রেমিকা পায়েল খান্নার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন আদিত্য। যদিও ২০০৯ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় পায়েল আর আদিত্যর। আর অনেকেরই মতে, রানির জন্যই হয়েছিল এই বিবাহবিচ্ছেদ।
বিয়ের পর প্রায় একবছর হোটেলে থাকতেন আদিত্য আর রানি। কারণ চোপড়া পরিবারের কেউ মেনে নিতে পারেনি এই বিয়ে। অবশেষে মায়ের কথা চিন্তা করে পরিবারে ফিরে আসেন আদিত্য। যদিও পুত্রবধূর সম্মান পেতে বেশ কাঠখড়ই পোহাতে হয় রানিকে।