আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ঘুষ লেনদেনের মামলায় জামিন পেলেন ডিআইজি মিজান

ঘুষ লেনদেনের মামলায় জামিন পেলেন ডিআইজি মিজান

ঘুষ লেনদেনের জন্য তিন বছরের দণ্ডিত পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের একক বেঞ্চ এ মামলায় রায় দেন।

এর আগে গেলো ৬ এপ্রিল মিজানুর রহমানের খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। পরে মিজানের জামিন শুনানির জন্য আজ বুধবার (১৩ মার্চ) দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

এদিকে ঘুষ লেনদেনের মামলায় সাজা কম হওয়ায় ও মানি লন্ডারিং মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রুল চেয়েছে দুদক।

গেলো ২৩ ফেব্রুয়ারি ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে ও বাছিরকে তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের একই কর্মকর্তা।

গেলো বছর ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। তিনি মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। এরপর গেলা ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান।

ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। এ বিষয়ে তিনি  নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।

এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।

এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। অপরদিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ঘুষ | লেনদেনের | মামলায় | জামিন | পেলেন | ডিআইজি | মিজান