নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে সদ্য পদত্যাগকারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ সারোয়ার কবীর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই সঙ্গে আসনটিতে তার স্ত্রী মাসুমা আক্তারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তারা পৃথকভাবে জেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবীর গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি দলের মনোনয়ন চেয়েও পাইনি। যেহেতু নির্বাচন করতে বাধা নেই। নেত্রী বলে দিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা যাবে। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। একই সঙ্গে আমরা স্ত্রীও এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময় মানুষের পাশে থেকেছি। বিপুল ভোটে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় মানুষ আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়।’
এদিকে, একই আসনে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনে নানা প্রশ্নও দেখা দিয়েছে।
আসনটিতে স্বামী-স্ত্রীসহ ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহাবুব আরা বেগম গিনি, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রশীদ সরকার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) গোলাম মারুফ মোনা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবু তাহের সায়াদ চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজেদুর রহমান, মকদুবর রহমান সরকার ও রকিবুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, শাহ সারোয়ার কবীর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে আছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থিতা চেয়েও পাননি। সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হতে সম্প্রতি তিনি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। শাহ সারোয়ার কবীর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম স্পিকার শাহ আবদুল হামিদের নাতি।
এএম/