হিমালয় থেকে ধেয়ে আসছে ঠাণ্ডা বাতাস, বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সন্ধ্যা হতেই হাটবাজারসহ রাস্তাঘাট হয়ে পড়ছে জনশূন্য। আজ তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিন দিন তাপমাত্রা আরও কমে আসছে। ডিসেম্বরের শুরু থেকে এই জেলায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। পৌষ মাস পড়তে আরও কয়েকদিন বাকি। পৌষ পড়লে তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
হিমালয়ের অবস্থান খুব কাছে হবার কারণে সন্ধ্যা হতেই পাহাড়ি হিমেল হাওয়া আছড়ে পড়ছে সীমান্তের এই জনপদে। ফলে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ছে। এই সময়টিতে নিম্ন আয়ের মানুষদের শীত নিবারণে সীমাহীন কষ্ট করতে হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দরিদ্র শীতার্তদের জন্য সামান্য পরিসরে শীতবস্ত্র পঞ্চগড়ের পাঁচটি উপজেলার বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে শীতবস্ত্র বরাদ্দের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি এই দুই মাস পঞ্চগড়ের মানুষের জীবনে নেমে আসে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। তীব্র শীতে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষদের সহায়তার বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়ে। আগামী দু’মাস এসব শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রোকন উদ্দিন জানান, বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় গেলো দুই সপ্তাহ ধরে ১২-১৪ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। বুধবার তাপমাত্রা নেমে গেছে ১২ ডিগ্রির ঘরে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৌষ পড়লেই এটি আরও নিচে নেমে আসবে। জানুয়ারি মাসের পুরো সময় জুড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আশংকা রয়েছে সেই ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির নিচে নেমে আসতে পারে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মনোয়ারুল ইসলাম জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নানা শীতজনিত রোগে। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে অনেক শিশু। হাসপাতালে জায়গার অভাবে শিশুরা মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে শিশুদের জন্যে পর্যাপ্ত ওষুধপত্র মজুদ রয়েছে।
