কিশোরীকে ধর্ষণের পরে অভিযুক্ত ধর্ষককে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠির তারাবুনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, পরিদর্শক মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে।
গেলো মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) তারাবুনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধর্ষণের বিষয়টি তদন্তাধীন বলে জানিয়েছেন ঝালকাঠি পুলিশের সার্কেল এসপি মাসুদ রানা।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মো. ছালেক ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা মোঃ বেলাল জানান, কিশোরীকে ৪ জন মিলে ধর্ষণের ঘটনা তারা জানেন। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ধর্ষক সাগর ও তার বন্ধুরা মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনার পরে সাগর ও মেয়েটিকে থানায় এনে ২ ঘন্টা জিজ্ঞেসাবাদ শেষে অভিযুক্ত সাগর ও মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মতিয়ার রহমান বলেন, মেয়েটিকে বিয়ের কথা বলে সাগরের বাবা মা দেখতে চায় এই আশ্বাসে তাকে ঘটনাস্থলে এনে ধর্ষণের কথা তিনি শুনেছেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি পুলিশকে জানায়, অভিযুক্ত সাগর বিবাহিত হওয়ায় সে আর বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
তিনি আরও জানান, কিশোরী কোন অভিযোগ না করায় সে অভিযুক্ত সাগরকে ছেড়ে দেন।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত সাগরের সাথে থাকা বাকি ৩ বন্ধু মনির, রাকিব, ইব্রাহিম ঘটনার পরপরই পলাতক। মেয়েটির মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
