আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস

দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস
হিমালয় কন্যা খ্যাত উত্তরের শীত প্রবন সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে শীত জেঁকে বসেছে। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ ছড়ায়নি। বিকালের পরে তাপহীন হয়ে পড়ে সূর্য । গত তিনদিন ধরে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বইছে হিমশীতল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। তার আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত তিনদিন ধরেই এ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত (রবিবারের) চেয়ে তাপমাত্রা আরও কমেছে। ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হলে সে অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হয়। রবিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। গতকাল রোববার রেকর্ড হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরের এ জেলা। দিনের বেলা সূর্যের মুখ দেখা গেলেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্ন আয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকালে কাজে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের। গ্রামের গৃহিণীরা জানান, কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা। রাতে বৃষ্টির ফোটার মতো শিশির ঝরা শব্দ শোনা যায়। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাবপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে উঠে। সকালে গৃহস্থালি তাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা জানান, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচণ্ড হিম শীতের মধ্যেই তারা চা বাগানে পাতা তুলতে এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করবো, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকরা। এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসকরা পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম জানান, ‘প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারও শীতের তীব্রতা বাড়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। ২০ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন দেশে | সর্বনিম্ন | তাপমাত্রা | ৯৭ | ডিগ্রি | সেলসিয়াস