আর্কাইভ থেকে জাতীয়

‘নির্বাচন বর্জনের প্রচারণা গণতান্ত্রিক অধিকার, আটক করা অনৈতিক’

‘নির্বাচন বর্জনের প্রচারণা গণতান্ত্রিক অধিকার, আটক করা অনৈতিক’
কাউকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেও যাবে না, এটা তাদের অধিকার। একইসঙ্গে নির্বাচন বর্জনের বিষয়েও তারা প্রচারণা করতে পারবে, এটাও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সুতরাং কেউ যদি নির্বাচন বর্জনের প্রচারণা করতে যায়, তবে তাকে আটক করাটা মোটেও ঠিক নয়। বললেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন। আজ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন বর্জনের প্রচারণা থেকে যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে আটক করে নিয়ে যায়, সেটি অনৈতিক। ভোটে অংশ নেয়ার অধিকার যেমন রয়েছে, ভোট বর্জনের অধিকারও মানুষের রয়েছে। সুতরাং আইন অনুযায়ী দুই পক্ষকেই সমান সুযোগ দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে, কোনো দল যদি নির্বাচনে অংশ নিতে না চায়, এটা একান্ত তাদের ব্যাপার। এতে কারও কোনো কিছু বলার নাই। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় কোনো উদ্বেগ নেই প্রতিনিধি দলের। এ নিয়ে একবারও জানতে চায়নি। পর্যবেক্ষক দলটি ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে থাকবে। ড. কামাল বলেন, যেই দলই ক্ষমতায় আসুক তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আসুক। আমরা এ বিষয়ে ইসির সঙ্গে যে আলোচনা সে বিষয়টিও জানিয়েছি। ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী যে সহিংসতা হয়েছে, তা যেন না হয় সে বিষয়ে কথা হয়েছ। ৪২টির রাজনৈতিক দলের ভেতর ২৯টি দলের অংশ নেয়ার কথা জানিয়েছি। তিনি বলেন, যেকোনো নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষ মতামত থাকতে পারে। তবে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ করা যাবে না। বিশেষত আমরা অতীতের নির্বাচনে এবং নির্বাচন পরবর্তী নানা সহিংসতা দেখেছি। ড. কামাল উদ্দিন বলেন, নির্বাচনে আমরা দেখছি ৪২টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে কেউ বা কোনো দল যদি নির্বাচনে অংশ নিতে না চায়, এটা একান্ত তাদের ব্যাপার। এতে কারও কোনো কিছু বলার নেই। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে জানতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে আসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নির্বাচন | বর্জনের | প্রচারণা | গণতান্ত্রিক | অধিকার | আটক | করা | অনৈতিক