পরামর্শ

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণ কী, ঝুঁকি এড়াতে যেসব নিয়ম মেনে চলবেন

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণ কী, ঝুঁকি এড়াতে যেসব নিয়ম মেনে চলবেন
হৃৎপিণ্ড হঠাৎ শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃৎপিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছতে পারে না। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, এবং শেষ পর্যন্ত সংজ্ঞা হারান রোগী। শারীরিক এই অবস্থাকেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে। অনেকেই অবশ্য হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্টকে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট-এর নেপথ্যে একাধিক কারণ আছে। এরমধ্যে হার্ট অ্যাটাক অবশ্য অন্যতম। জন্মগত হার্টের সমস্যা থাকলেও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের আগে কিছু উপসর্গ দেখা যায়। হালকা বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, শারীরিক অস্বস্তি, মাথা ঘোরার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। অনেকেই এই লক্ষণগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন না। ফলে পরিণতি হয় মারাত্মক। হার্ট অ্যাটাক হোক কিংবা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট- যে কোনও হৃদরোগের মূল উৎস হলো আধুনিক জীবনযাপন, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, মদ্যপান করা। এই অনভ্যাসের ফলে স্থূলতা, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের সমস্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ে। তাই ঝুঁকি এড়াতে কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। ১. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদ্‌রোগ ঠেকানোর অন্যতম উপায়। ঝুঁকি এড়াতে দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। একটানা যদি ঘুম না-ও আসে, তবে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঘুমিয়ে নেয়া প্রয়োজন। ২. হৃদ্‌যন্ত্র ভালো রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। তা ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও কিন্তু হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা বাড়ে। তাই নিয়ম করে শরীরচর্চা করতেই হবে। সব সময় খুব ভারী শরীরচর্চা করতে হবে এমন কোনও কথা নেই। হালকা ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি কিংবা যোগাসন করলেও চলবে। ৩. ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড এবং বাড়তি ওজনের মতো সমস্যা হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই সমস্যাগুলির জন্য অনেকেই নিজের ইচ্ছা মতো ওষুধ খান। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বা ওষুধ বন্ধ করা, দুই-ই ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। বিশেষ করে যাঁরা রক্তচাপের ওষুধ খান, তাঁদের এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি। ৪. হৃদ্‌যন্ত্রের নিয়মিত পরীক্ষায় অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ করা যেতে পারে হৃদ্‌রোগ। কিন্তু অনেকেই বুকে ব্যথা, ক্লান্তি বা শারীরিক অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলিকে গ্যাসের সমস্যা বলে এড়িয়ে যান। এই ধরনের সমস্যা অবহেলা করা ঠিক হবে না।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কার্ডিয়াক | অ্যারেস্টের | লক্ষণ | কী | ঝুঁকি | এড়াতে | যেসব | নিয়ম | মেনে | চলবেন