দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন শেখ রেহানা ও তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে মায়ের পর ভোট দেন পুতুলও। এই ভোটগ্রহণ বিরতিহীন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে ভোট দেয়ার পর শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কার জয়লাভ হবে। আবারও তারা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করবেন। বাংলাদেশ যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে তা, বাস্তবায়ন করতে পারবেন জনগণের ওপর এ বিশ্বাস তার আছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে এবং ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে অবাধে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য মাঠ পর্যায়ে পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, আর্মি, নেভী, কোস্টগার্ডসহ সবমিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের কাজে ৮ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও ১ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী স্ট্যান্ডবাই রয়েছে। ৩ হাজার ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারক মাঠে রয়েছে। তারা যেকোন অপরাধে তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতে পারবেন।
এবার ভোটে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে ৬৬ জন দায়িত্ব পালন করছেন। এরমধ্যে দুইজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন জেলা প্রশাসক।
এবারের নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এক হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী। ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে লড়াই করছেন ১৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন ৪৩৬ জন। এছাড়া নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলামের মৃত্যুবরণ করায় ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। ফলে এবার ২৯৯ আসনে হবে নির্বাচন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২৬৬ জন, জাতীয় পার্টির ২৬৫, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ১৩৫ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৬৬ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১৩ জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনে নারী প্রার্থী হিসেবে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯০ জন। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অন্যান্য মিলে ৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এবার ২৯৯ সংসদীয় আসনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ১০৩টি। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাবমতে, এবার ১০ হাজার ৩০০টি কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকা দেয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। এবারের নির্বাচনে সারাদেশে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন।
গেলো ২ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা প্রকাশ করে ইসি। ইসির তথ্যানুযায়ী, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন, নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২।