ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে চেষ্টার কোনও কমতি নেই। নিয়মিত ত্বকের যত্নও নেন। কেউ আবার রূপচর্চার জন্য ভরসা রাখেন পার্লারের উপরে। কেউ বা ঘরোয়া উপায়ে রূপচর্চা করে থাকেন। অনেকে আবার বাজারচলতি বিভিন্ন প্রসাধনীও ব্যবহার করেন। ত্বকের অবাঞ্ছিত, উটকো সমস্যা দূর করতে যা যা করণীয় সবই করেছন। অথচ, ত্বকের রুক্ষ-নির্জীব ভাব কিছুতেই যাচ্ছে না।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে এই সমস্যার পিছনে রয়েছে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। রোজের কিছু অভ্যাসই আসলে ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অনিয়ন্ত্রিত মানসিক চাপ
মুখ তো মনের আয়না। তাই মন ভাল না থাকলে তার ছাপ পড়ে চোখেমুখে। ঘরে-বাইরে কাজের চাপ, ব্যক্তিগত সমীকরণ ঠিক না থাকলে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। তা সামাল দিতে না পারলে ত্বক বুড়িয়ে যেতে পারে।
অপর্যাপ্ত ঘুম
কম বয়সে রাত জেগে পড়াশোনা করেছেন, আবার এখন কাজ থেকে ফিরে রাত জেগে সিনেমা, সিরিজ় দেখেন। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, এই অভ্যাসে কিন্তু চোখের তলায় কালি পড়তে পারে। সহজেই বলিরেখা ফেলতে পারে মুখে। রাতে কোলাজেন তৈরি করে ত্বক। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ত্বকের টান টান ভাব নষ্ট হতে পারে।
রোদে ঘোরাঘুরি
রোদে খুব বেশি ঘোরাঘুরি করলেও কিন্তু ত্বকের ক্ষতি হয়।
অতিরিক্ত ধূমপান
সিগারেটে নিকোটিনের পরিমাণ বেশি। অত্যধিক ধূমপানের কারণে নিকোটিন ত্বকের প্রতিটি কোষে পর্যাপ্ত পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দেয়। নিকোটিন ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি কোলাজেন এবং প্রোটিন তৈরি হতে দেয় না। ধূমপান অকালবার্ধ্যক্যের কারণ হতে পারে।
শরীরচর্চা না করা
শারীরিক ভাবে সক্রিয় না থাকলে দেহের ওজন বাড়তে থাকে। যা রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত করে। ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল না হলে সহজেই বয়সের ছাপ পড়ে।