দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনবিরোধী প্রোপাগান্ডায় সাত মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে।তবে, কারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ তথ্য জানান মার্কিন সাবেক কংগ্রেস ম্যান জিম বেটসের নেতৃত্বে পর্যবেক্ষক দল।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মার্কিন সাবেক কংগ্রেস ম্যান জিম বেটস তিনি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। উনারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাদের মতামত হলো এখানে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোথাও কোনো রকম গোলযোগ হয়নি। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’
‘ভোট পড়ার হার নিয়ে তাদের অভিমত হলো। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে এক মাসের মতো সময় লাগে। ই-ভোট, পোস্টাল ব্যালটে ভোট এবং সরাসরি গিয়ে ভোট দিতে হয়। আর এখানে আট ঘণ্টার মধ্যে এত লোকের ভোট দেয়াকে প্রশংসনীয় বলেছেন তারা।’
যুক্তরাষ্ট্র ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সে বিষয়ে তারা কিছু বলেছেন কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে তারা কথা বলেনি। তারা বলেছেন ইলেকশন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়েছে। তবে তারা মনে করে এখানে কিছু লবিস্ট ফার্মকে নিয়োগ করা হয়েছে সাত মিলিয়ন ডলার দিয়ে। কথাটা তারা বলেছেন, কোট করেছেন। তাদের কাছে তথ্য আছে। সেগুলো দিয়ে কিছু রকম প্রোপাগান্ডা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অভূতপূর্ব পরিবর্তনকে সমর্থন করেন তারা। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে, এই কথাটা বলেছেন তারা।’
কারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটা সুনির্দিষ্ট করে তারাও বলেনি, আমিও জিজ্ঞেস করিনি।’
এটা কী নির্বাচনবিরোধী প্রোপাগান্ডা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, নির্বাচনী পোপাগান্ডা। বাংলাদেশ অস্থিতিশীল করার জন্য সাত মিলিয়ন ডলার দিয়ে...।'
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়নি। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব দেশ, এ দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। সেই অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনে কোথায় ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে বলে কি কোনো তথ্য আপনাদের কাছে আছে? আমাদের কাছে কি আছে? যেটা ঘটেনি সেটা যদি কেউ বলে।’
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতাদের বলেছে জেলে রাখা হয়েছে। কাকে জেলে রাখা হয়েছে? প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর করা হলো, পুলিশ হাসপাতালে আগুন লাগিয়ে দেয়া হলো, অ্যাম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দেয়া হলো, পুলিশকে হত্যা করা হলো। কেউ যদি এ জাতীয় কাজ করে বা কাজ করানোর পেছনে কোনো ভূমিকা পালন করে, তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে না? সেখানে আপনি পরিচয় জেনেই বা কি করবেন। তিনি কোন পদে আছেন, কোন দলের, কি কাজ করেন- এটার ওপর নির্ভর করবেন নাকি অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করবেন।’