রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ দু’জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ড পাওয়া অন্য আসামি হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য মুনসুর আলম।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিনের আদালতে আসামিদের হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া সুলতানার আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস। আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার (১০ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন। এদিন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিন তাদের বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয়ার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গেলো ৫ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে যশোর থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছালে চলন্ত অবস্থায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পরদিন ওই ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) এসএম নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
অবশ্য, ওই রাতেই (৫ জানুয়ারি) নবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের দিন শনিবার (৬ জানুয়ারি) তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিকে, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) যাত্রাবাড়ী থানার বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে আসামি নবীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।