দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনের ভোট পুনরায় গণনা ও নির্বাচনি অনিয়ম হওয়া অর্ধশতাধিক ভোটকেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) তথ্য-প্রমাণাদিসহ নানা অনিয়ম তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে তিনি এই আবেদন জানান।
সিইসির কাছে আবেদনে আরিফুর রহমান উল্লেখ করেন, ৭ জানুয়ারির ভোটে ফরিদপুর-১ আসনের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি অনিয়ম, নন-ভোটার দিয়ে ভোট প্রদান, অনেক কেন্দ্র থেকে ঈগল প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া, নির্বাচনি আইন লঙ্ঘনসহ ব্যাপক জালভোট দিতে দেখা গেছে একজন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে। মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীদের ভোটও নেওয়া হয়েছে।
এই স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসারদের অবগত করলেও তাদের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে জানানোর পরেও প্রতিকার মেলেনি। নির্বাচন কমিশনের সচিবকে সরাসরি মুঠোফোনে বার্তা পাঠিয়েও কোনো ফল হয়নি। জালভোট পড়ার বিষয়ে একাধিক কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারদের আমার এজেন্ট ও কর্মী-সমর্থকরা জানালেও তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে রহস্যজনক আচরণ করেন।
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ফরিদপুর-১ আসনের বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল থেকে ভোট কারচুপির উদ্দেশে একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর সমর্থকরা অবস্থান নেয়। কেন্দ্র এলাকায় তারা আমাদের (ঈগল মার্কার) কর্মীদের মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দলের ওই প্রার্থীর লোকজন প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে অনেকগুলো কেন্দ্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ব্যালট পেপারে ওই প্রার্থীর প্রতীকে সিল মারে।
ঈগল মার্কার এজেন্টদের ভোটগ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টা পর কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় অভিযোগ করে দোলন আবেদনে বলেন, আবার বিকাল ৪টায় ভোট শেষ হলে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের ভোট গণনার কক্ষে রেখে আমার এজেন্টদের ওই কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এর আগেই ভোটের মনগড়া ফলাফল লেখা কাগজে জোর করে আমার এজেন্টদের স্বাক্ষর রাখা হয়। সেখান থেকে ওই বিশেষ প্রার্থীর এজেন্ট ছাড়া অন্য প্রার্থীর এজেন্টদেরও বের করে দেওয়া হয়।
যেহেতু নির্বাচন কমিশন চেয়েছিল একটি সুষ্ঠু ভোট করতে। নির্বাচন ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক এড়াতে। নির্বাচনি আইনের যথাযথ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে প্রার্থীর অধিকার সুরক্ষায় নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করতে। তাই ফরিদপুর-১ আসনের ভোটের ফল পুনরায় গণনা এবং অনিয়ম হওয়া কেন্দ্রগুলোর ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেছেন।