লড়াকু ইনিংসটির শেষটা হতে পারতো অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ডাবল সেঞ্চুরি পেরিয়ে। তাতে শ্রীলঙ্কা দলীয় সংগ্রহটা ঠেকতো চারশ’তে গিয়ে। ১ রানের আফসোসে পুরতে হলো তার। তাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গেছে ৩৯৭ রানে।
বিশ্বের ১২তম ব্যাটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র এক রান আগে আউট হলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। বাংলাদেশের মাটিতে ১৯৯ রানে আউট হলেন লঙ্কান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ৯ ঘণ্টা ৩৮ মিনিটের ম্যারাথন ইনিংসে ৩৯৭ বল খেলে ১৯ চার ও ১ ছয়ের মারে এ ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি।
তার দিনে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের অফস্পিন নাঈম হাসান। আজ সোমবার (১৬ মে) দ্বিতীয় সেশনের শুরুর ভাগে মাত্র ২০ বলের মধ্যে ৪ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের দ্রুত অলআউটের যে সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন নাঈম। এমনিতেই সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন মাত্র ৭ টেস্ট। গায়ে সেঁটে গেছে টেস্ট ক্রিকেটারের তকমা।
অনেকের মতে বাতিলের খাতায় নাম পড়ে গেছিলো তার। মেহেদী হাসান মিরাজ যেমন উজ্জ্বল পারফরম্যান্স করছিলেন, তাতে নাঈম হাসানের ফেরার রাস্তাটা সুগম ছিল না। শুরুতে সুযোগ মিলেছিল না ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজেও। সেই মিরাজের চোট কপাল খুলে দেয় এই অফ স্পিনারের। ফিরেই ঘরের মাঠে বাজিমার নাঈমের।
উইকেটের আশায় চায়নাম্যানের মতোও কয়েকটি ডেলিভারি করেন সাকিব। কিন্তু মেলেনি সফলতা। টুকটুক করে ধীরেসুস্থে দলীয় সংগ্রহ এগিয়ে নিতে থাকেন বিশ্ব ও ম্যাথিউস। লেজের সারির ব্যাটার বিশ্বকে ফাঁদে ফেলার জন্য বারবার শর্ট বল করেও সফল হননি দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ।
সেশন শেষ হওয়ার ঠিক আগে দিয়ে খানিক অধৈর্য্যই হয়ে যান বিশ্ব। বড় শট খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ের গড়বড়ে ক্যাচ তুলে দেন মিড অনে। কিন্তু হাতের লোপ্পা ক্যাচটিও হাতে রাখতে পারেননি মুশফিক। ফলে বেঁচে যান বিশ্ব। বিরতির আগ পর্যন্ত ৭৭ বল খেলে ১৭ রান করেন বিশ্ব।
আগেরদিন করা ৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে খেলতে আজকের সকালের শুরুটা দারুণ করেছিলেন দিনেশ চান্দিমাল ও ম্যাথিউজ। দুজনের জুটিতে তিনশ পেরিয়ে বড় সংগ্রহের আশাই দেখছিল শ্রীলঙ্কা। তবে একই ওভারে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান নাইম হাসান।
দারুণ খেলে সেঞ্চুরির আশা জাগালেও ৬৬ রানে থেমেছেন রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়া চান্দিমাল। লেট কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ৩ রান করা ডিকভেলা। একই ওভারে দুজনকে ফিরিয়েছেন নাইম। ম্যাথিউজও ফিরতে পারতেন দিনের চতুর্থ ওভারে।
খালেদের বলে খোঁচা দিতে গিয়ে মিস করেন তিনি। বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। কিন্তু আবেদন করেননি বোলার-ফিল্ডাররা। রিপ্লেতে দেখা যায় ব্যাটে হালকা ছোঁয়া লেগেছিল সেটি। কিন্তু আবেদন না করায় ১১৯ রানের মাথায় বেঁচে যান ম্যাথিউজ। সেখান থেকে আরো ৮০ রান করেন তিনি।
হাসিব মোহাম্মদ