গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তির বিচারে বাংলাদেশ চতুর্থ অবস্থানে আছে | ছবি: সংগৃহীত
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের (জিএফপি) ২০২৪ সালের সামরিক শক্তি সূচকে বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে। সামরিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে তৈরি করা আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এই সূচকে গেলো বছরের তুলনায় বাংলাদেশের তিন ধাপ উন্নতি হয়েছে। ২০২৩ সালে জিএফপির সূচকে বাংলাদেশ ৪০তম স্থানে ছিল। জিএফপির সূচকে বরাবরের মতো শীর্ষ সামরিক ক্ষমতাধর দেশ নির্বাচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জিএফপির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১৪৫টি দেশের সামরিক সক্ষমতার সর্বশেষ সহজলভ্য সামরিক সরঞ্জাম, প্রতিরক্ষা বাজেট, সৈন্য সংখ্যাসহ বিভিন্ন ধরনের ৬০টির বেশি মাপকাঠির ওপর ভিত্তি করে চলতি বছরের সূচক তৈরি করা হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতাকে এই সূচকের ভিত্তি হিসেবে ধরে নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জিএফপি।
‘২০২৪ মিলিটারি স্ট্রেন্থ র্যাংকিং’ নামে প্রকাশিত এই সূচকে সামরিক শক্তিমত্তা বিচারে দেশগুলোর স্কোরও নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে বিশ্বের ৩৭তম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সামরিক শক্তিসূচকে বাংলাদেশ স্কোর পেয়েছে শূন্য দশমিক ৫৪১৯। গত বছর বাংলাদেশের এই স্কোর ছিল শূন্য দশমিক ৫৮৭১।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের (জিএফপি) ২০২৪ সালের সামরিক শক্তি সূচকে বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৩৭তম অবস্থানে রয়ে
ছে
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সক্রিয় সৈন্য রয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার। সেনাবাহিনীতে ট্যাংক ৩২০টি এবং সামরিক যান রয়েছে ১৩ হাজার ১০০টি। এছাড়া সেনাবাহিনীতে সেল্ফ প্রোপেলড আর্টিলারি গান (এসপিজি) ২৭টি, মাল্টিপল লঞ্চ রকেট প্রোজেক্টর (এমএলআরএস) যান আছে ৭১টি। বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে সক্রিয় সদস্য আছেন ২৫ হাজার ১০০ জন। আর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সক্রিয় সদস্য রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ জন।
এদিকে, গত বছরের মতো এই সূচকে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জিএফপির সূচকে দ্বিতীয় সামরিক ক্ষমতাধর দেশ নির্বাচিত হয়েছে রাশিয়া। দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ০৭০২। রাশিয়া রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের পটভূমিতে ১৪৫টি দেশের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর তালিকায় ১৮তম স্থানে রয়েছে ইউক্রেন।
আর সামরিক শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশের এই সূচকে চীন রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চীনের স্কোর শূন্য দশমিক ০৭০৬। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত শীর্ষ সামরিক ক্ষমতাধর দেশের এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছে ভারত; দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ১০২৩। আর শূন্য দশমিক ১৪১৬ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
এছাড়া সূচকের শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে ৬ষ্ঠ যুক্তরাজ্য (স্কোর ০.১৪৪৩), জাপান ৭ম (স্কোর ০.১৬০১), তুরস্ক ৮ম (স্কোর ০.১৬৯৭), পাকিস্তান ৯ম (স্কোর ০.১৭১১) এবং ইতালি দশম (স্কোর ০.১৮৬৩) স্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের এই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তির বিচারে বাংলাদেশ চতুর্থ অবস্থানে আছে। বাংলাদেশের তুলনায় এগিয়ে আছে ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার। বাংলাদেশের পরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, নেপাল এবং ভুটান। তবে বৈশ্বিক সক্ষমতা বিচারে ভুটানের অবস্থান একেবারে তলানিতে। দেশটি ৬ দশমিক ৩৭০৪ স্কোর নিয়ে এই সূচকের ১৪৫তম স্থানে আছে।
এএম/