অন্ধকার পথে বিএনপি। তারা আলো ঝলমল নির্বাচন বাদ দিয়ে অন্ধকারের গলিপথ খুঁজে। তারা জানে, মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ। বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) গণভবনে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি লিফলেট বিতরণ করেছে, মানুষ যেন ভোট না দেয়। কিন্তু ঘটনা উল্টো ঘটলো। মানুষ ধরে নিলো ভোট দিতেই হবে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনে তারা ভোট দিয়েছে।
বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, অন্ধকার পথে বিএনপি। তারা আলো ঝলমল নির্বাচন বাদ দিয়ে অন্ধকারের গলিপথ খুঁজে। তারা জানে, মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ। এর চেয়ে ভালো কিছু জানা নেই। তবে ভোটে জনগণের বিজয় হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, সরকার জনগণের সেবক। আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে এসেছি। টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। মানুষ এখন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলার বিবরণ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আমার ছেলের বউ ও মেয়ের কাছে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিয়েছে। আমি তাদের কাছে মাফ চেয়ে রওয়ানা করেছি মামলা ফেস করতে। আসতেও বাধা দিয়েছে। আমাকে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ফেরত দেয়। সেটি বিশ্বের ১৫৬ পত্রিকায় প্রকাশ হয়। যার কারণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা পেয়েছিলাম। ওই সময়ে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতারা আমার পাশে ছিলেন। আপনাদের অবদান গণতন্ত্রের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, আপনারা যারা প্রবাসে কাজ করেন, ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারেন। সবার জন্য এ সুবিধা করে দিয়েছি। রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য সব অনলাইন করে দিয়েছি। সহজে এখন টাকা পাঠাতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, অনেক ঘাত প্রতিঘাত চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। দেশকে নিয়ে নানা কর্মসূচি করা শুরু করেছিলাম। অথচ, ষড়যন্ত্র করে আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে। চলে আসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন।
এ সময় ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এই গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছি। আমরা যুদ্ধের পক্ষে না, শান্তির পক্ষে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ না থাকলে উন্নতি হয় না। অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো জঘন্য কাজ নেই। অস্ত্রের টাকা মানবকল্যাণে, শিশু বিকাশে ব্যয় হোক।
ফিলিস্তিনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়া হয়েছে আরও দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।