সরকারি কর্মচারীদের বেতন সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা ও নবম জাতীয় পে-কমিশন গঠনসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি বাস্তবায়ন ঐক্য ফোরাম।
আজ রোববার (২২ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ফোরামের আহ্বায়ক মো. হেদায়েত হোসেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নবম পে-স্কেল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য ১১-২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ও শতভাগ পেনশন দিতে হবে। একই সঙ্গে স্বেচ্ছায় অবসরে চাকরির বয়সসীমা ২০ বছর নির্ধারণ এবং আনুতোষিক প্রতি ১ টাকায় ৩০০ টাকা ও পে-কমিশনে কর্মচারীদের প্রতিনিধি রাখতে হবে।
ফোরামের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— সচিবালয়ের মতো সচিবালয়ের বাইরে সকল দপ্তর ও অধিদপ্তরে কর্মরত কর্মচারীদের পদবী ও গ্রেড পরিবর্তনসহ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন করা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের প্রথম শ্রেণী ও সহকারী শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণী কর্মকর্তার পদমর্যাদা ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। ব্লক পদ প্রথা প্রত্যাহার করতে হবে।
১১-২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। টাইম স্কেল-সিলেকশন গ্রেড, টেকনিক্যাল কর্মচারীদের জন্য দুটি বিশেষ ইনক্রিমেন্ট পুনর্বহাল করদে হবে। এলাকা ভেদে ৭০ থেক ১০০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া, সামঞ্জস্যপূর্ণ চিকিৎসা ভাতা, টিফিন ও যাতায়াত ভাতা প্রদান করতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে হেদায়েত বলেন, প্রজাতন্ত্রের সিনিয়র সচিব থেকে শুরু করে ২০তম গ্রেডে কর্মরত সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বৈষম্য নিরসনের দিকটি বিবেচনায় নিয়ে শত শত স্কেলকে বিলুপ্ত করে ১০টি গ্রেডের একটি সুষম বেতন কাঠামো উপহার দেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর স্বৈরাচারী সরকার ১৯৭৭ সালের বেতন স্কেলে প্রচলিত ১০টি গ্রেডের পরিবর্তে ২০টি গ্রেডে বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করে। এর মাধ্যমে কর্মচারীদের মাঝে বৈষম্যের সূত্রপাত করা হয়।
