২০০৪ সালে না পারলেও শেষ পর্যন্ত ২০ বছর পর র্যাম্পে হাঁটলেন এ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে মন জয় করেছেন তিনি। তবে দিন দিন যেন তার বয়স কমছে। ৪১ বছর বয়সে এসেও রূপের দ্যুতি ছড়াচ্ছেন এই অভিনেত্রী। মাঝে মধ্যেই ভক্তদের তাক লাগিয়ে দেন রুনা। কখনও অভিনয়ে, কখনও বা ফেসবুকে ছবি দিয়ে। এবার র্যাম্পে হেঁটে ফের ভক্তদের চমকে দিলেন রুনা।
২০০৪ সালে পাক্ষিক আনন্দধারায় একটা ফটোশুটে অংশ নিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। দেশের এক গণমাধ্যমে রুনা বলেন, ২০০৪ সালে পাক্ষিক আনন্দধারায় একটা ফটোশুটে অংশ নিয়েছিলাম। সেই ফটোশুটে দিহান আপু আমাকে বার বার বলেছিলেণ, তুই র্যাম্পে কাজ কর। তোর উচ্চতা, ফিগার—সবই উপযুক্ত। কিন্তু আমার কাছে তখন মনে হয়েছিল, এটা কি আমার কাজ? আমি কি আদৌ পারব? র্যাম্প ও অভিনয়—দুটো দুই ধরনের কাজ। আমার যদি শেষ পর্যন্ত কোনোটাই না হয়, সে জন্য আমি আসলে অভিনয়কে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। সে সময় তিনি আমাকে রাজি করাতে পারেননি। কারণ, আমার মনে হয়েছিল, আমি পারব না।
নতুন এ অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অভিনেত্রী বলেন, খাদি ফেস্টিভ্যালে হাঁটলাম। আমাদের দেশি পণ্য, দেশি ঐতিহ্য, বেশির ভাগ ডিজাইনার আমাদের দেশি। মাহিন আপার ডিজাইন করা পোশাকে শো স্টপার হয়ে কাজ করার সুযোগ পেলাম। মনে হয়েছে, এটা আমার জন্য শুধু সুযোগ নয়, সম্মানেরও।
মাহিন আপাও আমাকে বারবার বলেছিলেন, মডেল হিসেবে তোমাকে দেখতে চাই না, তুমি যা, তা–ই দেখতে চাই। রুনা খানের ব্যক্তিত্ব এখানে দেখতে চাই। তুমি যেভাবে হাঁটো, সেভাবেই হাঁটবে, মডেলদের মতো নয়। শেষ পর্যন্ত তো র্যাম্পে আমার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে শেষ হয়েছে দেশের ফ্যাশন অঙ্গনের অন্যতম বড় ইভেন্ট ‘খাদি ফ্যাশন উইক’। এটি আয়োজন করে ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ (এফডিসিবি)। আর এতেই শো স্টপার হিসেবে অংশ নেন রুনা। প্রথমবারের মতো র্যাম্পে হেঁটে ভীষণ উচ্ছ্বসিত এই অভিনেত্রী।
আসরে দেশি-বিদেশি ডিজাইনারের পোশাক নিয়ে সেখানে ফ্যাশন কিউ প্রদর্শিত হয়েছে। ফ্যাশন শো—টির কোরিওগ্রাফ করেছেন দেশের জনপ্রিয় মডেল ও গ্রুমার আজরা মাহমুদ।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে রুনা অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘অসময়’। বর্তমানে এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আলোচনায় রয়েছেন এই অভিনেত্রী। অভিনয়জীবনে দুই দশকের বেশি সময় পার করলেও এবারই প্রথম র্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতা হলো রুনার।