এবার মানহানি মামলায়ও হেরে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে ৮৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার জরিমানা করেছেন দেশটির একটি আদালত।
মার্কিন লেখক ই জেন ক্যারলের করা মানহানি মামলায় স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) নিউইয়র্কের ম্যানহাটান ফেডারেল আদালত ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই অর্থ দিতে ট্রাম্পকে নির্দেশ দেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বা হয়, ২০১৯ সালে ক্যারলের দায়ের করা যৌন নিপীড়নের মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প দোষি সাব্যস্ত হন এবং আদালত তাকে ৫৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার জরিমানা করেন। ওইসময় তখন ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ক্যারলকে মিথ্যাবাদী বলেন। ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে মানহানি হয়েছে দাবি করে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন ক্যারল। শুক্রবার ওই মামলার রায়ে ট্রাম্পকে জরিমানা করেন আদালত।
সাত জন পুরুষ বিচারক ও দু’জন নারী বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত আদালত বেঞ্চ রায় ঘোষণার সময় বলেন, জরিমানার এই অর্থ মামলার বাদী মার্কিন লেখক ও সাংবাদিক ই. জেন ক্যারলকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় আদালত ভবনে ছিলেন ট্রাম্প। তবে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন না।অন্যদিকে, নিজের দুই আইনজীবীর সঙ্গে এজলাসে হাজির ছিলেন ক্যারল।
রায় ঘোষণার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ৭৯ বছর ছুঁইছুঁই ক্যারল বলেন, ‘পৃথিবীতে যেসব নারী আঘাত পেয়ে পড়ে যাওয়ার পর ফের উঠে দাঁড়ায়, এই রায় তাদের সবার জন্য; আর যেসব উৎপীড়ক প্রতিনিয়ত নারীকে অত্যাচার করে, মিশিয়ে ফেলতে চায়, এই রায় তাদের জন্যও।’
প্রায় কাছাকাছি সময়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিক্ততা প্রকাশ করে এক পোস্টে ৭৭ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং এখন একে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা আমেরিকার সংস্কৃতি নয়।’ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।