মহামারি করোনার পর বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ব্যাংক খাত। এর মধ্যে প্রধান চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি, অপরটি বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার। এ দুই কারণে বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। এটি মোকাবিলায় শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক নয়, সরকারি বেসরকারি সব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সমষ্টিগতভাবে কাজ করতে হবে। বললেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
আজ শনিবার (২৮ মে ) ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমদানির ক্ষেত্রে আমরা বেশ কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছি। সেগুলো মেনে চললে আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বিলাসী পণ্য আমদানি থেকে বিরত থাকবেন। এলসি ওপেনের ক্ষেত্রে আমরা কিছু মার্জিন দিয়েছি এগুলো আপনারা পরিপালন করবেন। আমরা সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সরাসরি ডলার সরবরাহ করছি। এটা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া খাদ্য, শিশু-খাদ্য ,সার, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, কৃষিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির সুযোগ করে দিয়েছি। যেসব পণ্য অতি প্রয়োজনীয় নয় সেগুলো আমরা নিরুৎসাহিত করছি।
তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালে আমাদের পেন্ডামিকের চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয়েছিল। ওই সময় ব্যাংকের কার্যক্রম সচল রাখতে হয়েছে। ব্যাংকগুলো সম্মুখ সারিতে ছিল। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে গিয়ে কিছু ক্ষতিও হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ মোট ১৮৯ জন ব্যাংকার মৃত্যুবরণ করেছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সেলিম রহমান। এ সময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও ফরমান আর চৌধুরী ছাড়াও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা রুমন