তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির একটি আদালত। এরপরই স্ত্রী বুশরা বিবিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ইমরানের বাসভবন বানি গালায় স্থানান্তরিত করা হয়।
এর আগে ইসলামাবাদে অবস্থিত ইমরানের এই বাসভবনকে সাব-জেল হিসেবে ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানা মামলায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বুশরা বিবিকে সাব-জেল হিসাবে মনোনীত তার স্বামী ইমরান খানের ইসলামাবাদের বাসভবন বানি গালায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের সাবেক এই ফার্স্ট লেডি বুধবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে জবাবদিহি আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে সেখানে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) দল তাকে হেফাজতে নেয়। এরপর ইসলামাবাদের প্রধান কমিশনার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইমরানের বাসভবন বানি গালাকে বুশরা বিবির সাব-জেল হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ইসলামাবাদ ক্যাপিটাল টেরিটোরির প্রধান কমিশনার দোষী সাব্যস্ত হওয়া বুশরা বিবির বাসভবনকে (আবাসিক কম্পাউন্ড, খান হাউস বানিগালা, মোহরা নূর, ইসলামাবাদ) পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাব-জেল হিসাবে ঘোষণা করছেন।’
বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, বানি গালার ভেতরে কারাগারের কর্মীরা অবস্থান করবেন এবং ইসলামাবাদ পুলিশের সদস্যরা ইমরান খানের এই বাসভবনের বাইরে মোতায়েন থাকবেন। সেখানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা দুর্নীতির এক মামলার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। রায়ে ইমরান ও বুশরাকে ১০ বছরের জন্য সরকারি পদে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজনের প্রত্যেককে ৭৮৭ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়েছে।
এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, গত বছর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পিটিআই প্রধানকে ‘মিথ্যা বিবৃতি এবং ভুল ঘোষণা’ দেওয়ার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করার পর তোশাখানা মামলাটি পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির জাতীয় রাজনীতিতে বিতর্কের একটি প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে।