সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে চতুর্থ স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করেছে স্বামী শফিকুল ইসলাম। রোববার (২৯ মে) রাতে চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।
সোমবার (৩০ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মুক্তা ধর বলেন, রোববার রাতে এলআইসির একটি টিম অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) আকবর শাহ থানা থেকে শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
এসএসপি বলেন, গেলো ১৫ মে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানার চরদাহ সাকিনস্থ জনৈক ছবিলার রহমানের ভাড়া করা বাসার তালাবদ্ধ ঘরে রোজিনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর সিআইডি ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে সংগৃহীত বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে শফিকুল ইসলামের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি স্বীকার করেন যে, এ পর্যন্ত তিনি ৪টি বিয়ে করেছেন। প্রথম বিয়ে ২০০৯ সালে, নিজ এলাকায় কোহিনুর খাতুনকে (১৮)। এ সংসার মাত্র ২ মাস স্থায়ী হয়। দ্বিতীয় বিয়ে ২০১১ সালে। এ সংসারের স্থায়িত্ব ছিল ১ বছর ২ মাস। তাদের জান্নাতি (৯) নামে একটি সন্তান রয়েছে। তৃতীয় বিয়ে ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের ফয়েজ লেক এলাকায়। তাদের খাদিজা আক্তার সুমাইয়া (৭) নামে একটি সন্তান রয়েছে। এ সংসার থাকতেই ২০২০ সালে চতুর্থ বিয়ে করেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানায়।
মুক্তা ধর আরও বলেন, প্রায় ১ বছর ৬ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে সে স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিল। ১৪ মে বিকেলে ভিক্টিমকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করার সংবাদ পেয়ে নিহতের বাবার বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে যেয়ে স্বামী শফিকুলের দাবিকৃত যৌতুকের ১ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। কিন্তু একই তারিখ রাত সাড়ে ১১টার দিকে শফিকুল ইসলাম ও ভিক্টিম রোজিনা বেগমের মধ্যে এ ঘটনার বিষয়ে পুনরায় কথা কাটাকাটি হলে রোজিনা বেগমকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
