মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সাঁড়াশি আক্রমণের তোপে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা তিনশরও বেশী বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি, সেনা কর্মকর্তা এবং ইমিগ্রেশন সদস্য নিয়ে নতুন জটিলতায় পড়তে পারে বাংলাদেশ। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মতোই মিয়ানমার সরকারের এসব কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা বাংলাদেশে স্থায়ী হতে পারে। কারন, রাখাইন রাজ্যের বিশাল অংশ আরাকান আর্মি দখল করে নেওয়ায় এখন তাদের ফিরিয়ে নেওয়া অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
গেল ৩ দিন ধরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বান্দরবানের তমব্রু-ঘুমধুম, কক্সবাজারের থাইংখালী-উলুবুনিয়া এলাকার আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে দল বেঁধে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন মিয়ানমার জান্তা সরকারের নানা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। কেউ কেউ পায়ে হেঁটে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছে। এছাড়া ৬৪ জনের একটি দল নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা তিনশ’২৮ জনের মধ্যে দুইশ’৪৯ জন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি। বাকিদের মধ্যে দুজন সেনা কর্মকর্তা, চারজন সিআইডি, পাঁচজন স্থানীয় পুলিশ, নয়জস স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্য। এছাড়া ২০ জন ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চারজন বেসামরিক ব্যক্তিও রয়েছেন।
মিয়ানমার সরকার তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তবে দেশে ফিরলে তাদের জান্তা সরকারের কঠিন শাস্তির শিকার হতে হবে।
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের যেতে হবে। বিষয়টি মিয়ানমারের ব্যাপার। বাংলাদেশ কখনও অন্য দেশের কোনো কিছুর মধ্যে নাক গলায়নি। তারা সে দেশে যাওয়ার পর তাদের কঠিন বিচার হবে কি হবে না, সেটা মিয়ানমার সরকারেরবিবেচনার বিষয়।
তবে মিয়ানমার সরকার তাদের নৌপথে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্তে আরাকান আর্মির শক্ত অবস্থানের কারণে তা সম্ভব নয়।